ফারুক আহমদ, উখিয়া ॥
উখিয়ার কোটবাজার সোনার পাড়া সড়কে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মটর সাইকেল আরোহী তারেক (২৪) নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বন্ধু শাহাব উদ্দিন (২৩) ও সুজন (২২)। আহতদেরকে কোটবাজার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত যুবক হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ মাতব্বর পাড়া গ্রামের আবু তাহের মিস্ত্রির ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায়। ঘাতক এনজিও সংস্থার ব্যবহৃত হায়েস গাড়ীটি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ায় এখনো আটক করতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রুমখাঁ মাতব্বর পাড়া গ্রামের মৃত ছলামতের পুত্র শাহাব উদ্দিন, মাহমুদুল হক প্রকাশ মাতু’র পুত্র সুজন ও আবু তাহের মিস্ত্রির ছেলে তারেক জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া গ্রামে এক আতœীয়ের বাসায় বেড়াতে যান। সন্ধ্যায় মটর সাইকেল নিয়ে ফেরার পথে কোটবাজার-সোনার পাড়া সড়কের লম্বরী পাড়ার রাস্তার মাথায় দ্রুত গামী কক্সবাজার মূখী এনজিও কর্মকর্তা বাহী একটি হায়েস মাইক্রো মটর সাইকেলকে সামনা সামনি চাপা দিলে মটর সাইকেল চালক তারেক ঘটনাস্থলে নিহত হন। অপর দু’বন্ধু গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় জনগণ দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তৎমধ্যে কর্তব্যরত ডাক্তার তারেককে মৃত্যু ঘোষণা করেন। আহতদেরকে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে দূর্ঘটনার খবর শুনে পিতা-মাতা আতœীয়স্বজন ও গ্রামবাসীরা হাসপাতালে তাদেরকে দেখতে ভীড় জমায়। বিশেষ করে ভদ্র, ন¤্র ও হাস্যউজ্জ্বল তারেকের অকাল মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। সকলের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। নিহতের পরিবার ও আতœীয়স্বজনরা এনজিও কর্মকর্তা বাহী ঘাতক হায়েস মাইক্রো বাসের চালকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানা। নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০৬টি আর্ন্তজাতিক ও দেশীয় এনজিও সংস্থার হাজার হাজার যানবাহন বেপরোয়া গতিতে না চালানোর দাবী জানিয়েছেন। এবং কক্সবাজারে অবস্থান না করে এসব এনজিও বাহী গাড়ী ক্যাম্প ভিত্তিক এলাকায় অবস্থান করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
প্রত্যেক্ষদর্শী অনেকে জানান, এনজিও কর্মকর্তা বাহী হায়েস মাইক্রো বাসটি দ্রুত সোনার পাড়া রোড দিয়ে কক্সবাজারে যাচ্ছিল। ড্রাইভার বেপরোয়া ভাবে মটর সাইকেল আরোহীদেরকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আবুল খায়ের দূর্ঘটনার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘাতক এনজিও কর্মকর্তা বাহী হায়েস মাইক্রো বাসটি সনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: