সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ১৪ মার্চ ::
কক্সবাজারের ঈদগড় এএমবি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র জনি দে। লেখা-পড়ায় খুব ভাল। বিদ্যালয়ে রয়েছে যতেষ্ট সুনাম। শিক্ষকরাও খুব ভালবাসে তাকে। বিদ্যালয়ে সবারই প্রিয় শিশু শিল্পী জনি দে। ঈদগড় পূর্ব রাজঘাটা এলাকায় ২০০২ সালের ২৯ আগষ্ট সনাতনী ধর্মালম্বী পরিবারে তার জন্ম। বাবা তপন দে একজন সাধরণ লোক। পাড়া ও বাজারে মালামাল বিক্রি করে সংসার চলে। মা একজন সাধারণ গৃহিনী। ৩য় শ্রেণীতে পড়া অবস্থা হতে জনি দে ঝুঁকে পড়ে গানের প্রতি। একটু একটু গান করতে গিয়ে হঠাৎ একদিন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জীবনের প্রথম “আমি যেদিন যাব চলে” গান গেয়ে উপস্থিত দর্শক ও এলাকাবাসীকে মাতিয়ে তুলে। সে থেকে এলাকায় ছোট-বড় নানা অনুষ্ঠানে গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করে চলেছে। বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে বেশির ভাগ ইভেন্টে প্রথম স্থান অধিকারের পাশাপাশি বহিরাগত দর্শকদের হৃদয়ে কড়া নাড়া দেয়। তার গানে মুগ্ধ হয়ে বহিরাগত অনেক দর্শক তাকে গান পরিবেশনের জন্য এলাকার বাহিরে নিয়ে যায়। বড় বড় নানা অনুষ্ঠানে অদ্যাবধি গান গেয়ে নিজেকে ব্যাপক ভাবে শিল্পী হিসাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। অনেক নামী দামি শিল্পীদের সাথে একই মঞ্চে গান পরিবেশন করেছে। ইতিমধ্যে সে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, লোহাগাড়া, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, দোহাজারী, ফটিকছড়ি, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, উখিয়া-টেকনাফসহ দেশের আরো বিভিন্ন জায়গায় গান পরিবেশনের মাধ্যমে সবারই প্রিয় শিল্পী হয়ে উঠেছে। মা-বাবা দুজনই তাকে গানে অনুপ্রেরণা যোগায়। শিশু শিল্পী জনি নিজেই হারমনিয়ামের মাধ্যমে বাংলা, ইংরেজী, ফার্সী, উর্দু, কাওয়ালী, আধুনিক, দেশাত্ববোধক ও ভান্ডারী গানসহ বিভিন্ন ধরণের গান গেয়ে বেশ আলোচিত হয়েছে। সে সকলের সহযোগীতায় ভবিষ্যতে বড় মাপের শিল্পী হতে চায়। গান গেয়ে দেশ ও এলাকার জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারলেই তার সার্থকতা বলে জানান শিশু শিল্পী জনি । অপরদিকে তার বাবা তপন দে জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি জনি গানের প্রতি খুবই দূর্বল হয়ে পড়ছে। পাশাপাশি যে কোন অনুষ্ঠানে গান গেয়ে উপস্থিত দর্শকদের মনকে মাতিয়ে তুলছে। সে যেন ভবিষ্যতে বড় শিল্পী হতে পারে সে জন্য সকলের দোয়া কামনা করছেন তার বাবা ।
পাঠকের মতামত: