এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও :: ব্যস্তবহুল বাণিজ্যিক উপশহর ঈদগাঁও বাজারে এখন মালবাহী ট্রাকের দূর্বিসহ যন্ত্রনায় পড়েছেন বাজারবাসীসহ শিক্ষার্থী সমাজ। এতে নিত্যনৈমিত্তিক যানজটের কবলে বন্দি হতে হচ্ছে পথচারী ও ব্যবসায়ীসহ সাধারন জনগনকে। এই বাজারে সকাল থেকে রাত অবদি পর্যন্ত একাধিক সময়ে মালবাহী ট্রাকের কবলে পড়ে আটকে থাকতে হচ্ছে নানা শ্রেনী পেশার মানুষকে। তদারকির অভাবে এহেন অবস্থান সৃষ্টি। দেখার যেন কেউ নেই। গতকাল সকালে ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি সড়কে বেশ কয়েকটি মালবাহী ট্রাক প্রবেশ করায় তীব্র আকারে ধারন করছে যানজট। এমন চিত্র চোখে পড়ে কক্সবাজার প্রতিদিন প্রতিবেদকের। বিশেষ করে,তিনচাকার যান বাহন চলাচলে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এমন অভিযোগ পথচারীদের। সড়কের দুপাশ এখন টমটমের দখলে। সড়ক জুড়েই দুরপাল্লার যান বাহনের পাশাপাশি তিন চাকার গাড়ী গ্রামীন সড়ক পেরিয়ে মহা সড়কে বেপরোয়া গতি তে চালনার ফলে এহেন অবস্থার সৃষ্টি বলে জানান সাধারন মানুষ। ষ্টেশনের দুপাশ জুড়েই নানা যানবাহন সারি বদ্ব ভাবে থাকায় অন্য গাড়ী চলাচল করতে নানাভাবে হিমশিম খাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে যত্রতত্র স্থানে বাড়ছে যানজট। রিক্সার পাশাপাশি যন্ত্রচালিত এসব লাইসেন্সবিহীন তিন চাকার যানবাহনও চলছে সমানতালে। তাতে আবার অদক্ষও আনাড়ী চালক। নীতি মালার সীমাবদ্ধতার অজু হাতে এগুলো নিয়ন্ত্রণের দায়দায়িত্ব নিতে চায়না সংশ্লিষ্টরা। কোন রকম ভয়,দ্বিধা-দ্বন্ধ ছাড়া রাস্তায় দূরন্ত বেগে ছুটে যাওয়া ব্যাটারী চালিত যানবাহনে বেড়ে চলছে প্রায়শ দূর্ঘটনা। এসব ব্যাটারী চালিত গাড়ী ব্যস্ত সড়কে চলে অনেকটা দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। বিদ্যুৎ চালিত অটো রিক্সার পাল যেন প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলের আনাছে কানাছে। যত্রতত্র স্থানে এসব যানবাহনের কারনে একের পর এক যানজট লেগে থাকে। অসহায় লোকজন এ দুর্ভোগ যেন রক্ষা পাচ্ছেনা কোনভাবে।
যানজটের কবলে আটকে থাকা কজন রিক্সা চালকরা জানান, ঢাকা চট্রগ্রাম থেকে আসা খাদ্যদ্রব্যবাহী বড় বড় ট্রাক যখন তখন প্রবেশ করনে বাজারবাসীকে নিদারুন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কবে হবে এর পরিত্রান। অনেকেই চলতি নির্বাচনকে সামনে রেখে যানজটে নিরসনের বিষয়ে মুখ খুলছেনা।
পথচারী শুক্কুর,আজিম,আলম,শামশুরা জানিয়েছেন,ছোট যানবাহন আর ট্রাকের কারনে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক,উপসড়ক বা বাজারে পায়ে হেটে চলাচল অনেকটা দায় হয়ে পড়ে। অনুমোদন বিহীন তিন চাকার গাড়ী মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় কারনে যান জটে অতিষ্ট সর্বশ্রনী পেশার মানুষ।
পাঠকের মতামত: