ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

গরু পাচারের মাশুল!

ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে সিরিজ ডাকাতি- দুই যাত্রী অপহরণ -মুক্তিপণ দাবী

আনোয়ার হোছাইন ঈদগাঁও,কক্সবাজার ::

কক্সবাজারের পাহাড়ি জনপদ ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে ছোট বড় অর্ধডজনাধিক যানবাহন ডাকাতির শিকার হয়েছে।এসময় ডাকাতদল দুই যাত্রীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করছে বলেও জানা গেছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০টার দিকে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ঈদগাঁও ইউনিয়নের পাহাড়ি বন এলাকা সাঁততারা ঘোনা ঢালা সড়ক অংশে এ ঘটনা ঘটে।
অপহৃতরা হল, পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের তুফান আলী পাড়া ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু তাহের পিতা- গফুর ও একই এলাকার ছৈয়দুল হকের ছেলে রিফাত।
প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘটনার দিন রাতে যাত্রী নিয়ে ঈদগাঁও থেকে বাইশারীর উদ্দেশ্যে যাওয়া কয়েকটি সিএনজি ও মোটরসাইকেলের যাত্রীকে সড়কে অবস্থান নেয়া সশস্ত্র ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সর্বস্ব লুটে নেয়। এ সময় ডাকাত দল সিএনজিতে থাকা দুই যাত্রীকে জিম্মি করে পাহাড়ি বনের দিকে নিয়ে যায় । পরে ডাকাতদল পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবী করে বলে জানা যায় ।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবিরকে কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি ।
তবে ঘটনার পরপর সংবাদ পেয়ে ঈদগাঁও থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে বলে নিশ্চিত করছেন ঘটনাস্থল এলাকার ব্যবসায়ী বাবুল।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, রাত তিনটার দিকে অপহরণকারীরা মোবাইলে অপহৃতদের পরিবারের কাছ থেকে প্রতি জনের জন্য তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে বলে পরিবারের সদস্যরা তাকে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ডাকাত ও অপহরণচক্র অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে খ্যাত এ সড়কে দীর্ঘদিন যাবত অপরাধ সংঘটন অনেকটা কমেছিল। এতে পাহাড়ি এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লাখো জনগোষ্ঠী অনেকটা স্বস্তিতে ছিল।
অতিসম্প্রতি উক্ত পাহাড়ি এলাকাকে মায়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে আসা গরু পাচারে স্থানীয় ও বহিরাগত একটি প্রভাশালী সিন্ডিকেট নিরাপদ জোন হিসেবে বেচে নেয়।নির্বিঘ্নে গরু পাচার অব্যাহত রাখতে গরু পিছু কমিশন ভিত্তিতে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকা অপরাধীরা এলাকায় ফিরে আসে।এরপর থেকেই ঈদগাঁও ও আশ-পাশের এলাকা দিয়ে গরু পাচারের সাথে ডাকাতি,অপহরণ ও খুন ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে।এতে করে জনমনে দিন দিন আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এ পথ দিয়ে পাচারকৃত গরুর চালান নিয়ে নানা কান্ড ঘটলেও প্রশাসনকে কার্যকরী ভুমিকা নিতে দেখা যায়নি বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে।যার মাশুল দিচ্ছে এখন এলাকার সাধারণ জনগণ।

পাঠকের মতামত: