সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকার লোকজন ও কৃষকরা আতংকিত হয়ে পড়ছে। যে কোন মুহূর্তে অপহরণ, ডাকাতি, খুনের মত ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারনা স্থানীয়দের। সম্প্রতি পার্বত্য বাইশারীতে একের পর এক বন্দুক যুদ্ধের ঘটনায় শীর্ষ ডাকাত আনোয়ার প্রকাশ আনাইয়াসহ তার বাহিনীর আরো তিন সদস্য নিহত হলে প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছে তার বাহিনীর অপরাপর সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদগাঁওয়ের ভাদিতলা এলাকার দুইজন, রশিদ নগরের ৪ জন,জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৪ জন সহ মোট ১০ জন সদস্য ছিল আনাইয়া গ্রুপের। তাদের প্রধান বন্দুক যুদ্ধে মারা গেলে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠে অপরাপর সদস্যরা। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ১৫/ ১৬ জনের একটি অস্ত্রধারী ডাকাত দল ভাদিতলার পূর্ব পাশের আরাগোরার ঝিরি থেকে ধানক্ষেত প্রহরীদের ধাওয়া করে। ডাকাত দলের অবস্থান দেখতে পেলে শাহ আলম ও অন্যান্য আরও ৫/৬ জন প্রহরী জীবন বাজী রেখে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
স্থানীয় ভাদিতলা এলাকার বাসিন্দা বেলাল উদ্দীন জানান, বৃহত্তর ভাদীতলা ও কালির ছড়া আশ-পাশের কৃষক ও হাজার হাজার গ্রামবাসী বলতে গেলে রাতের অন্ধকারে ডাকাতের কাছে জিম্মি থাকে। দ্রুত পুলিশ প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় শত শত হেক্টর ধান ক্ষেত হাতির দ্বারা নষ্ট হবে এবং উক্ত অপহরনকারী ও ডাকাতেরা গ্রামে হানা দিয়ে দোকানদার তারেকের মত অন্য কাউকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ আদায় করবে এবং প্রবাসী ও গ্রামের সচ্ছল কোন বাড়ীঘর ডাকাতি করবে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের নবাগত ইনচার্জ আবুল কায়েস আখন্দের মুঠোফোন রিং দেয়া হয়। রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে ঐ নাম্বার থেকে ব্যস্ত আছেন বলে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়।
পাঠকের মতামত: