এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::
প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবছরও চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁওর বাসষ্টেশনের দুইপাশ জুড়েই কোরবানীর পশুর হাট বসার ফলে তীব্র যানজটে নাকাল হওয়ার পাশাপাশি উভয় দিকের হরেক রকমের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। পশুর হাটটি অনত্রে সরানোর দাবী এলাকার সচেতন মহলের। সপ্তাহ পেরুলেই পবিত্র ঈদুল আযহা তথা কোরবানের ঈদ। এই ঈদে বৃহত্তর ঈদগাঁওর সাত ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আসা ক্রেতা বিক্রেতা ছাড়াও পাশ্বর্বতী রামুর ঈদগড়,রশিদ নগর,চকরিয়ার খুটাখালী এমনকি নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীর লোকজনও প্রতিবছর কোরবানের পশু ক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য জেলা সদরের বৃহৎ বানিজ্যেক উপশহর ঈদগাঁও বাজারের বিশাল গরু মহিষের হাটে এসে থাকে। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে, ঈদগাঁও বাসষ্টেশন তথা চট্রগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের উপর পশুর বাজার হওয়ার পাড়া মহল্লার ক্রেতা বিক্রেতারা অনেকটা ঝুঁকিপূণ অবস্থায় রয়েছে। দুরপাল্লাসহ ছোট বড় নানা
জাতের পরিবহনের অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনার ভয় আর আতংক নিয়ে তাদের পালিত গরু মহিষ গুলো বিকিকিনির জন্য হাটবাজারে আনতে শুরু করছে। ঈদগাঁওর প্রধান কোরবানের পশুর হাটে ভিনদেশীয় গরুর পাশাপাশি দেশীয় গরুর কদরও তুঙ্গে রয়েছে। কোরবান আরো কিছুদিন থাকায় স্থানীয়সহ দুরদুরান্তের ক্রেতারা এখন শুধু ঘুরে ঘুরে দেখছেন। চলতি বছরের পশুর হাটে শুরুতেই তেমন গরু মহিষ বেচাকেনা হয়নি বলে জানান কয়েক বিক্রেতারা। অনেকে দরদাম নিয়ে বিপাকে পড়েছে। দেখা যায়, ১৪ আগষ্ট বিকেলে মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসষ্টেশনের দুইপাশ জুড়েই পশুর বাজার জমে উঠছে। তবে শুরুতেই ক্রেতা বিক্রেতাদের উপ চেপড়া ভীড় যেন লক্ষ্যনীয়। কলেজ গেইট ব্রীজ থেকে বাসষ্টেশনের দরগাহ গেইট পর্যন্ত গরু মহিষে ছেয়ে গেছে। এক গরু ব্যবসায়ী দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা দাম দিয়েছে যন্তে গড়া তার পশুটিকে। বৃহত্তর এলাকার পাড়া মহল্লার লোক জন দীর্ঘদিন ধরে কোরবানের পশুর হাটে বিক্রয়ের জন্য রাখা পালিত গরু মহিষগুলো আনছে। সে সাথে ব্যবসায়ীরা ভিনদেশীয় পশু এনে তাদের ব্যবসা বানিজ্যে জমিয়ে তোলার অপেক্ষায় রয়েছে। সুচতুর ক্রেতারা হাট বাজারের এপাশ ওপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছেন বিক্রেতাদের কাছে তেমন দামাদামিও করছেনা।
উল্লেখ্য যে, ঈদগাঁওর পশুর হাটে (মঙ্গলবার) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কাঙ্গালী ভোজের জন্য গরু মহিষ কিনতে কক্সবাজার সদর ও চকরিয়া উপজেলার নেতাকর্মীরা এসেছিল।
পাঠকের মতামত: