এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও ::
কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বাউকুল বাগান জুড়ে উৎসবের আমেজ। যেন চাষীদের ভাগ্যবদল। অনুকুল আবহাওয়ায় কুলের আকার আকৃতিসহ স্বাদ বেড়েছে। ঈদগাঁও পাহাড়ি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে বাউকুল জাতের কুলের চাষ হচ্ছে কয়বছর যাবত ধরে। চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুঠে উঠেছে। বিভিন্ন স্থানে বাউকুল চাষ করে স্বাবলম্বী চাষীরা।
পাহাড়ী ইউনিয়ন ঈদগড়ের পাশাপাশি কুলের আবাদের জন্য খ্যাতির স্থান দখল করতে যাচ্ছে ঈদগাঁও। দেখা গেছে, গাছে গাছে থোকায় থোকায় কুল ঝুলে রয়েছে। কৃষক বাগান থেকে কুল সংগ্রহ করছেন। বাগান জুড়ে উৎসবের আমেজে ভরপুর চাষীদের মাঝে।
বাউকুল বিক্রেতারা জানান, বিগত বছরের চেয়ে এবছর অনুকুল আবহাওয়ার কারণে কুলের আকার-আকৃতি বেড়ে কুলের ওজন বৃদ্ধি হয়েছে। ঈদগাঁওর কালিরছড়ায় কটি বাগান থেকে পাইকারী কুল কিনে ঈদগাঁও বাজারসহ পাড়া মহল্লায় বিক্রি করছি। তবে ছোট আকারের কুল কেজি ৫০ টাকা আর বড় কুল ৯০/১০০ টাকা বিক্রি করে যাচ্ছি।
১৩ জানুয়ারী দুপুরে ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া শিয়াপাড়ায় বাউকূল বাগান পরিদর্শনে এমনি মনোমুগ্ধকর দৃশ্য চোখে পড়ে।
বাগানের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচর্চা কর্মী সূত্রে জানা যায়, বিগত বছর গুলোতে কুলের আবাদে লাভ হয়নি। উৎপাদন কম হওয়ায় আকার আকৃতিতে বড় না হওয়ায় কুল চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হন অনেকে। এবার অনুকুল আবহাওয়ায় উল্টোচিত্র। আকার-আকৃতির সাথে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে কুল চাষীদের মুখে যেন হাসির ঝিলিক। অনুকুল আবহাওয়া থাকায় ফলন বৃদ্ধির সাথে সাথে কুলে আকার আকৃতিসহ স্বাদ বেড়েছে।
পাঠকের মতামত: