ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁওতে চলছে পাহাড় কাটা ॥ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা

mail.google.comসেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে অবিরাম চলছে পাহাড় কাটা। মেহেরঘোনা রেঞ্জ, ঈদগাঁও রেঞ্জ ও ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীনে শতাধিক বনবিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারী ও ভিলেজার থাকলেও অদৃশ্য কারণে তারা নির্বিকার। ফলে বৃহৎ এ এলাকার জনমনে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কার পাশাপাশি ভূমিদস্যুদের থাবায় পাহাড় নির্ধনসহ বনাঞ্চল ধ্বংসের আশঙ্কা বিরাজ করছে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের বনাঞ্চল এলাকার প্রায় স্থানে দালান নির্মাণ, সড়ক ও কৃষি জমি সম্প্রসারণ ও ডোবা জায়গা ভরাটের অযুহাতে চলছে এসব পাহাড় কর্তনের কাজ। মেহেরঘোনা বনবিটের অধীনে কলেজ সংলগ্ন জায়গায় শিক্ষক পরিচয় দিয়ে দালান নির্মাণের অযুহাতে চলছে পাহাড় কাটা। এ ব্যাপারে পাহাড় কর্তনকারী মোহাম্মদ আরেফিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বনবিভাগের লোকজনকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বাড়ী সম্প্রসারণের জন্য পাহাড় কাটছেন বলে জানান। তার মত ঐ এলাকার অনেকেই দেদারছে কাটছেন পাহাড়। দিন দুপুরে এ পাহাড় কাটা কর্ম করলেও বনবিভাগের লোকজন না দেখার ভান করায় এলাকাবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ পাহাড় কাটার ব্যাপারে সমাজ সেবক মৌলভী এমদাদ জানান, এরকম একজন সচেতন ব্যক্তি আরেফিন পাহাড় কেটে সাবাড় করায় তারা অনেকবার তাকে বারণ করেছেন। বনবিভাগের লোকজন তার ঘনিষ্টজন বলে দাম্ভিক্য করে এলাকাবাসীকে তিনি হুমকি দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মেহেরঘোনা বনবিট কর্মকর্তা মামুন রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি সঠিক অভিযোগ পেলে পাহাড় কর্তনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। এদিকে এলাকায় এরকম সচেতন ব্যক্তিদের পাহাড় কর্তনের দৃশ্য দেখে অনেকেই উৎসাহী হয়ে অপ্রয়োজনীয় পাহাড় কেটে মাটি নিয়ে বিভিন্ন ডোবা জায়গা ভরাট করছেন। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী পাহাড় কর্তন বন্ধ করতে উর্ধ্বতন বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: