সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে ২২ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ করে কাল বৈশাখীর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে প্রচুর গাছপালা ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক’শ কাঁচা ঘরবাড়ি। বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়েছে পপি শর্মা নামের (১৬) এক স্কুল ছাত্রী। সে ঈদগাঁও’র উত্তর মাইজপাড়া গ্রামের মানিক শর্মার কন্যা। আহত পপিকে প্রথমে ঈদগাঁও’র একটি ক্লিনিকে পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে চমেকে স্থানান্তর করা হয়। বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়ছে বাজারের প্রধান সড়ক ও অলিগলি। কাদা জলে একাকার হয়ে যাওয়াতে পথচারীদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাতে এবং রাস্তার চেয়ে দু’পাশের দোকানপাট অনেক উঁচুতে নির্মিত হওয়ায় রাস্তাটি মুলত ড্রেন হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে। বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারন লোকজন সড়কটি সংস্কারের জন্য এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নিকট বার বার ধর্ণা দিয়ে এলেও এ পর্যন্ত আশ্বাস ছাড়া আর কিছু মিলেনি।
ব্যবসায়ী ছৈয়দ করিম আক্ষেপের সাথে জানান,হয়ত সারা বাংলাদেশ ঘুরলেও এমন একটি পঁচা ও নোংরাময় পরিবেশের বাজার দ্বিতীয়টি আর চোখে পড়বেনা। পথচারী শাহানা বেগম জানান, জনগণের এসব দুর্ভোগের কথা কি জনপ্রতিনিধিরা একবারও চিন্তা করেননা। স্কুল ছাত্র আফিয়াতের মতে, চলাচলের জন্য ফুটপাতও নেই, বড় বড় মালবাহী ট্রাক ও অবৈধ স্ট্যান্ড এবং ফুটপাতের উপর অবৈধসব টং দোকানের কারনে হাঁটার জায়গাও নেই।
শিক্ষক মোঃ রশিদ বলেন, জেলার বৃহত্তম এ পাইকারী বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় করলেও বৃহত্তর ঈদগাঁওবাসীর সংকট নিরসনে সরকার বিমাতা সুলভ আচরন করে আসছে। অপরদিকে কাল বৈশাখীর তান্ডব ও হঠাৎ বৃষ্টির কারণে লবন চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ইসলামপুরের লবণ চাষী আবদুল মালেক জানান, বৃষ্টির কারণে তার প্রায় পাঁ’শ মন লবণ বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। এলাকায় এরকম আরও কয়েক’শ লবণ চাষীর লবণ বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। যেকারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বৃহত্তর ঈদগাঁও’র লবণ চাষীরা।
পাঠকের মতামত: