আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় অতিসম্প্রতি সংঘটিত আলোচিত টমটম চালক হত্যা ও দুই যাত্রী অপহরণ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাবের পৃথক অভিযানে তিনজন আটক হয়েছে ।
ধৃতদের মধ্যে প্রথমজন হচ্ছে অপহরণ চক্রের প্রধান হোতা সালেক প্রকাশ সালেইক্যা।সে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের গফুরের ছেলে ।
শনিবার(১৮ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে মুক্তিপন হাতিয়ে নিয়ে পাহাড়ি বন এলাকা হয়ে ঈদগাঁও ভাদিতলা থেকে সিএনজি যোগে পালিয়ে যাওয়ার পথে ঈদগাঁও থানা পুলিশে ধাওয়া করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। তবে অপর তিন সহযোগী পালিয়ে যায় ।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) রাতে ঈদগাঁও – ঈদগড় সড়কে গণডাকাতির ঘটনায় দুই যাত্রী অপহরণের শিকার হয়।
পৃথক অপর অভিযানে অতি সম্প্রতি
ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়ায় সংঘটিত চাঞ্চল্যকর টমটম চালক মোর্শেদ হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান খুনি ও ছিনতাইকারী চক্রের হোতা উক্ত এলাকার মোরশেদ পিতা- আবদু শুক্কুরকে তার অপর সহযোগিসহ আটক করেছে বলে র্যাব-১৫ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অভিযান ও আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারী চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের বাসিন্দা টমটম চালক মোরশেদ পিতা- শামশুল আলমকে দূর্বৃত্তরা উপুর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন করে টমটমটি ছিনতাই করে। পরে খুনির এলাকা থেকে তার লাশটি উদ্ধার হয়
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির পৃথক অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অপহরণ চক্রের হোতা সালেক প্রকাশ সালেইক্যার বিরুদ্ধে অপহরণ -ডাকাতিসহ অর্ধডজনাধিক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে ৯ টি ওয়ারেন্ট রয়েছে। সে দীর্ঘদিন যাবত অপরাধ সংঘটন করে এলাকার বাইরে চলে যেত। অপরদিকে র্যাব-১৫ কতৃক মোরশেদ হত্যায় জড়িত দুই জনকে আটকের তথ্যও তিনি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে দ্রুত সময়ে আলোচিত এ দুই ঘটনায় জড়িতদের আটকে সক্ষম হওয়ায় ঈদগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির ও র্যাব-১৫ কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা তাদের পেছনে থাকা প্রভাবশালী রাঘববোয়ালদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: