ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসলামাবাদে প্রেমের ফাঁদে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ, দেড় মাসের অন্তঃসত্ত্বা

ধর্ষণমোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও  :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের মধ্যম গজালিয়া গ্রামের নুরুল আলমের স্কুল পড়ুয়া মেধাবীে এক ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার খলিলুর রহমানের পুত্র নাছির উদ্দীন বাপ্পির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা রহিমা খাতুন বাদী হয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত কেন্দ্রের আইসি মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া একাধিকবার উভয়পক্ষ নিয়ে সমঝোতার বৈঠক করেও কোন সূরাহা করতে পারেনি।

অভিযোগে প্রকাশ,ইসলামাবাদ জাহানারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রীকে প্রেমের অভিনয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস যাবত ধর্ষণ করে ইসলামাবাদ মধ্যম গজালিয়া গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র নাছির উদ্দীন বাপ্পি। এক পর্যায়ে দেড় মাসের অন্তঃসত্তার বিষয়টি ছাত্রীর মা রহিমা খাতুন জানতে পেরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পূর্বেই বিয়ের পূর্ববর্তী ফর্দ্দ নামা করেই কৌশলে নাছির উদ্দীন তার কথিত প্রেমিকা জোছনার গর্ভপাত ঘটিয়েছে বলে মা রহিমা খাতুন অভিযোগে প্রকাশ করেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে তড়িঘড়ি করে নাছির উদ্দীন বাপ্পির আত্মীয়-স্বজনরা গত ২০ মার্চ বিয়ের প্রস্তুতি স্বরূপ আবারো ৩ লক্ষ টাকা কাবিন মূলে বিয়ে সম্পন্ন করতে একখানা লিখিত চুক্তি করে। চতুর বাপ্পির পক্ষ কাল বিলম্ব করে অবশেষে মেয়েকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়া কোন রকম বিয়ে বা ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করলে ছাত্রীর পক্ষকে হত্যার হুমকি দেয়ায় অবশেষে নিরূপায় হয়ে ১১ এপ্রিল ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে আইসি মিনহাজ একাধিকবার বৈঠকে বসে বিষয়টি সূরাহার চেষ্টার পরও বাপ্পির পক্ষের অসহযোগিতার কারণে সম্পন্ন করতে পারেনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রেমিক-প্রেমিকার পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং মেয়েপক্ষ মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

পাঠকের মতামত: