ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
টানা ৬ দিনের ছুটিতে কক্সবাজারের উখিয়ার পর্যটন নগরী ইনানীর সী-বীচে দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড় বেড়েছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকতের লীলা ভূমি ইনানী সী-বীচ যেন পর্যটকদের ভ্রমনে অভিন্ন আনন্দ এনে দেয়। ইনানী বিচে বি¯তৃর্ন এলাকা জুড়ে প্রকৃতি নিজ খেয়ালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে অসংখ্য কোরাল। এসব কোরালের রহস্যময়ী অবস্থান অবলোকন করতে এই বীচে কিছুটা সময় কাটাতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটক চলে আসে। ইনানী বিচের অদুরেই রয়েছে আরো মন মাতানো প্রশান্তির পাটুয়ারটেক সী-বীচ। পাটুয়ারটেক সী-বিচের একটু পূর্বে পাহাড়ের নিচে রহস্যময়ী কানা রাজার গুহা। কানা রাজার গুহার পাশেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক ফইল্লা চাকমার মাচাং ঘর দেখতে আনন্দ লাগে। পশ্চিমে বিস্তৃর্ণ নান্দনিক সমুদ্রের ঢেউ পূর্বে উচু পাহাড় তার মাঝেই ইনানী সী-বীচ। পৃথিবীর দীর্ঘতম বেলাভূমি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ বীচের উখিয়ার ইনানী সী-বিচ দেখতে ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে সাধারণ দর্শনার্থীদের চেয়ে রাজধানী সহ দূরদুরান্ত থেকে আসা ভিআইপি ট্যুরিষ্টদের পদচারনায় মূখরিত হয়ে উঠেছে। এক সময় ইনানী সী-বীচের জলরাশি ও ঢেউয়ের নৃত্য, প্রকৃতির দৃশ্য উপভোগ করে সময় কাটাতেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার পর থেকেই এই বীচের গুরুত্ব এবং আকর্ষন বেড়েই চলছে। সাধারন পর্যটকরা কক্সবাজার শহর সংলগ্ন বীচ ভ্রমন করে তাদের নিজ আবাস স্থলে ফিরে নিজেকে গর্বিত মনে করে বলে একাধিক পর্যটকরা উৎফুল্ল মনে জানিয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশী-বিদেশী পর্যটকরা কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিনের চেয়ে ইনানী বিচে অবকাশ যাপন ও দর্শনে অধিকতর সময় ব্যয় করতে চাইলেও পর্যাপ্ত পরিমাণ নিরাপত্তা ও আবাসিক হোটেল-মোটেল না থাকায় তাদেরকে কক্সবাজারে ফিরে যেতে হয় বলে জানালেন সিলেট থেকে আসা পর্যটক দম্পতি সাদেকুর রহমান ও নিলুফা রহমান। তারা বলেন, ইনানী বীচে কক্সবাজার বীচের চেয়ে স্বচ্ছ নীলাব পানি, অসংখ্য কোরালের ছড়াছড়ি, সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য ও সমুদ্র ঘেষা পাহাড়। যার কারণে পর্যটকরা বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পারে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ভ্রমনে আসা পর্যটক সঞ্জয় দাশ, ফেনী থেকে আসা পর্যটক মোর্শেদুল হক, রাজশাহী থেকে আসা দম্পতি শাহ মোয়াজ্জেম ও শাকিলা ইয়াছমিন, চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার প্রফেসর নুর মোহাম্মদ সহ আরও একাধিক পর্যটক ইনানী সী-বীচ ঘুরে খুশি মনে এ প্রতিবেদকে বলেন, পবিত্র ঈদ আযহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে আমরা এখানে বেড়াতে এসেছি। ইনানী সী-বীচ তথা কক্সবাজারের মনোরম পরিবেশ দেখে খুব ভালই লেগেছে। আমরা আগে শুনেছিলাম ইনানী সী-বীচে সূর্যাস্তের কথা কিন্তু বাস্তবে দেখে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। তারা বলেন, সমুদ্রের পানিতে নেমে গোসল, প্রবাল পাথরে বসে ছবি করছি। ইনানী বিচের পূর্নাঙ্গ রূপ দেখতে পর্যটকদের কিছু সময় হাতে নিয়ে আসতে হলেও ভাটার সময় এই বিচের পানি যেমন নীলাব দেখায়, তেমনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোরাল পাথুরের উপর ছোটাছুটি স্মৃতির মানসপটে ফটোসেশন করা, সূর্যাস্ত দর্শন আরও কত কিচ্ছু মনকে আন্দোলিত করে তোলে। আবার জোয়ারের সময় থেকে কিছুক্ষন অবস্থান কালে জোয়ারের স্বচ্ছ পানিতে ঢেউয়ের আছড়ে ক্রমেই ছড়িছিটিয়ে থাকা অসংখ্য কোরালের অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, ইনানীর বড় ও ছোট খালে জোয়ারের পানিতে টুইটুম্বর হওয়া, খালে মাছ ধরার নৌকা ও ফিশিং বোটের নড়াচড়া, ইনানীর পাশেই সবুজ-শ্যামল গ্রামের চিরাচরিত চিত্র, পাহাড়ের সবুজ গাছ-গাছালি, বীচের লাল কাঁকড়াদের হুড়োহুড়ি, সাগরে জেলেদের মাছ শিকারের দৃশ্য দেখতে ভাল লাগে। ইনানীতে তারকা মানের আবাসিক হোটেল, বনবিভাগের রেষ্ট হাউস, ব্যক্তিমালিকানাধীন কয়েকটি কটেজ আছে তবে তা পূর্ব থেকে বুকিং করে না আসলে হয়ত ইনানীতে রাত যাপনের ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যায়। ইনানী সী-বিচে দেশের যেকোন এলাকা থেকে যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা আছে। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের যেকোন অঞ্চল থেকে কক্সবাজারের সরাসরি বিলাস বহুল গ্রীন লাইন, সৌদিয়া-এস আলম লাক্সারী, সোহাগ, শ্যামলী, সেন্টমাটিন সার্ভিস সহ বেশ কিছু পরিবহন সার্ভিসে কক্সবাজার আসা যায়। মেরিন ড্রাইভ রোড ছাড়াও কক্সবাজার শহরে প্রবেশের পূর্বে লিংরোড হয়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার কোট বাজার রাস্তা হয়ে ইনানী যাতায়াত করা যায়। উভয় রোড দিয়ে ইনানী পৌঁছতে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় লাগে। প্রাইভেট গাড়ী হলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এ স্থান দিয়ে ইনানী যাতায়াত সহজ ও সুবিধা হয়। আবার মেরিন ড্র্রাইভ রোড় দিয়ে ইনানী যাতায়াতকারীদের বেশি ভাল লাগতে পারে, কেননা একদিকে বিশাল সাগরের জলরাশি, বেলাভূমি অপরদিকে পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে ছোট ছোট শ্যামল গ্রামের বিচিত্র দৃশ্য। সারাদিন ভ্রমন করে রাত যাপন করতে না চাইলেও তেমন বিড়ম্বনা নেই, রাত যতই হউক না কেন কক্সবাজার শহরে ফেরা অতি সহজ। কক্সবাজার শহরে যেকোন মানের ও দামের আবাসিক হোটেল-মোটেল, রেষ্টহাউসে থাকার সু-ব্যবস্থা রয়েছে। ইনানী বিচে স্থানীয় লোকদের পাশাপাশি টুরিষ্ট পুলিশের সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা ও সহযোগীতার কারণে ভ্রমন পিপাসু পর্যটকরা নির্ভয়ে ভ্রমন করতে পেরে তাদের ভ্রমন স্মৃতিময় হয়ে উঠে। ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ও টুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন, দেশীয় ও বিদেশী পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশের পাশাপাশি টুরিষ্ট পুলিশ, বীচকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
#################3
উখিয়ায় পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে পানির দরে: ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
উখিয়ায় এবার কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে প্রতি পিস আড়াইশ/তিনশ টাকা দরে। চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের অভিনব কৌশল বুঝে উঠতে না পারায় প্রতিটি মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে ধরা খেয়ে লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে এবার ছিন্নমূল ফকির, মিসকিন ও হতদরিদ্র পরিবারগুলো চামড়া বিক্রির সেই কাঙ্খিত খয়রাতির পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
প্রতি ঈদুল ফিতরে ফিত্রার টাকা ও ঈদুল আযহার সময় চামড়া বিক্রির দান খয়রাতির টাকা নেওয়ার জন্য উখিয়ার হতদরিদ্র ফকির, মিসকিন ও ছিন্নমূল পরিবারগুলো আশান্বিত হয়ে তারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে আগাম চামড়া টাকা পাওয়ার বায়না ধরে থাকে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্নরূপ। এবার কোরবানির পশুর চামড়া পানির দরে বিক্রি হওয়ার কারণে হতদরিদ্র পরিবারগুলো দান খয়রাতির পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উখিয়ার পাড়া মহল্লায় যে সব মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী রয়েছে তারা বলছে আড়াইশ/তিনশ টাকা দরে চামড়া কিনে সে চামড়া পাইকারী ব্যবসায়ীদের ১৫০/২শ’ টাকা ধরে বিক্রি করতে হয়েছে। হাজী পাড়া গ্রামের মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী আনার আলী, নুরুল ইসলাম, শামশুল আলমসহ একাধিক লোকজন জানান, তারা ১০/১২টি করে চামড়া ক্রয় করেছিলেন ২৫০/৩শ’ টাকা দরে। সেই চামড়া মরিচ্যা বাজারস্থ পাইকারী চামড়া ব্যবসায়ীদের ১৫০/২শ’ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে। একাধিক মৌসুমী ব্যবসায়ী জানায়, পাইকারী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গঠন করে লবণের বৃদ্ধির অজুহাত ধরে চামড়া ক্রয় করতে কোন আগ্রহ প্রকাশ করছেনা বিধায় লোকসান দিয়ে চামড়া বিক্রি করতে হয়েছে।
এখানে যেসব পরিবার গুলো বছর বছর পশু কোরবানিতে অব্যস্ত এমন পরিবারের একজন মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, গত কোরবানির মৌসুমে যে চামড়া হাজার বারশ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, একই সাইজের চামড়া চলতি মৌসুমে বিক্রি করতে হয়েছে ২৫০/৩শ’ টাকা দরে। চামড়া ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন জানান, টেনারী মালিক সমিতি প্রতিবর্গফুট ৪০ টাকা দরে চামড়া ক্রয়ের যে মূল্য নির্ধারণ করে ছিল তা এখানে বাস্তবায়িত হয়নি। পানির দরে চামড়া বিক্রি হওয়ার কারণে ফকির, মিসকিনেরাও চাহিদামত খয়রাতির টাকা পাইনি। তবে পাইকারী ব্যবসায়ী মতামত ব্যক্ত করে বলেন, লবণের দাম বৃদ্ধিসহ পশু জবাইয়ের সময়ে বৃষ্টির কারণে আড়তদার ব্যবসায়ীরা নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় করেনি। যে কারণে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হয়েছে।
###############
উখিয়ায় স্বামী পাগল ফরিজার অজানা কাহিনী
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া ::
কক্সবাজারের উখিয়ার ধইল্যা ঘোনা গ্রামের এক মহিলা ২ মাসের মাথায় পর পর ৩ স্বামীকে বিবাহ করার ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ স্বামী রোহিঙ্গা নুরুল আলমকে বিবাহ করে পূর্বের স্বামী ও তাদের পরিবার পরিজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় টিএন্ডটি ধইল্যা ঘোনা গ্রামের রোহিঙ্গা আবদুর রশিদ ফকিরের কন্যা ফরিজা আক্তার হোটেলে দেহ ব্যাবসার পাশাপাশি পায়ু পথে ইয়াবার চালান বহন করে ঢাকা-চট্টগ্রাম পাচারকারীদের নিকট নিরাপদে পৌছে দেওয়ারও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে কথিত এ ফরিজার বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গা শিবিরের নতুন টালের হামিদ হোসেনের ছেলে নুরুল আলমকে বিবাহের পর থেকে ইয়াবার বিভিন্ন চালান পাচার করে দেওয়ার অভিযোগের যেন শেষ নেই। ইতিপূর্বে কথিত দেহ ব্যবসায়ী ও বেইশ্যা ফরিজা এলাকায় উশৃংখলা জীবন যাপন ও রূপ যৌবনে আকর্ষন বৃদ্ধি করতে এলাকার একাধিক ইয়াবা আসক্ত নেশাখোরদের সাথেও অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। তার এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপের কারণে এলাকার সমাজিক পরিবেশ বিষিয়ে উঠার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন উঠতি বয়সের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে নানা শংকায় রয়েছে। তার পিতা আবদুর রশিদ ফকির বলেন, মেয়ের উশৃংখল জীবন যাপন ও বেপরোয়া চলাফেরা করলে তাকে কয়েকবার নিষেধ করা হয়। কিন্তু তার এসব অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ না করলে প্রতিবাদ করতে গিয়ে উল্টো হাতে লাঠি সোঠা নিয়ে ফরিজা তার পিতা আবদুর রশিদকে মারধর করে। এছাড়াও কক্সবাজারের একটি হোটেল থেকেও কথিত ফরিজাকে খদ্দেরসহ তাকে কক্সবাজার থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। কিছুদিন কারা অন্তরিন থাকার পর জামিনে এসে আবারো নানা অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া ইতিপূর্বে উখিয়া সদরের জনৈক ২ ব্যক্তিকে ষ্টাম্প ও নোটারী পাবলিক মূলে বিবাহ করে ১ জনের সাথে ২ মাস ও অন্য জনের সাথে ১৫ দিন ঘর করে তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় এ মহিলা। কিছুদিন যেতে না যেতেই রোহিঙ্গা শিবির অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল আলমকে বিবাহ করে এখন ইয়াবা ব্যবসায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। স্বামী রোহিঙ্গা নুরুল আলমের ইয়াবার চালান পায়ু পথে বহন করে (ডিপফ্রিজ) বেশ কয়েকটি চালান ঢাকায় পাচার করার অভিযোগ রয়েছে কথিত এ ফরিজার বিরুদ্ধে। এলাকার দানু মিয়া জানান, তার কারণে এলাকার সামাজিক পরিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি কুলষিত হয়ে উঠছে সমাজ। এসব অবৈধ কর্মকান্ড স্থানীয় লোকজন দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। কারণ এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে বিভিন্ন ভাবে নারী নির্যাতন মামলার হুমকি ধমকি দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করে থাকে। তার বেপরোয়া জীবন যাপন ও দাপটের কাছে এলাকার লোকজন অসহায় হয়ে পড়ে। ফলে ধইল্যা ঘোনা এলাকার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। তার লাগাম টেনে ধরা না হলে এলাকার তরুন ও উঠতি বয়সী যুবকদের ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মূখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত ফরিজার মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ এলাকার প্রতিটি ক্রাইম স্পটগুলো পর্যবেক্ষন ও অনুসন্ধানে রেখেছে এবং অভিযুক্ত অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
##################
ইনানীতে সড়ক র্দুঘটনায় নিহত- ১
ওমর ফারুক ইমরান, উখিয়া :::
কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সী বীচ সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কে দ্রুতগামী একটি মোটর সাইকলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শবর্তী খাদে পড়ে ঘটনাস্থলে এক আরোহী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত মোটর সাইকলে আরোহী রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কাউয়ারখোলা গ্রামের বাঁচা মিয়ার ছেলে কসমেটিক্স ব্যবসায়ী আজিজুল হক নয়ন(২৮)। গতকাল বিকালে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষর্দশী মোঃ জুনাইদ জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে গতকাল শূক্রবার বিকেলে ইনানী বীচে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটর সাইকলেটি পার্শ^বর্তী খাদে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাঁকে উদ্ধার করে ইনানী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে।
পাঠকের মতামত: