ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আনন্দ ও অন্যরকম আয়োজনে সাংবাদিক ইউনিয়নের মিলনমেলা

17352392_10208738624724306_7105008154319359934_nদিনটি ছিল ১৮ মার্চ। ঘুম ভাঙতেই মনে পড়লো কয়েক ঘন্টা পরেই আমরা সেন্টমার্টিন যাচ্ছি। প্রস্ততি সেরে সকাল ৬টায় রওনা হলাম প্রেসক্লাবের উদ্দেশ্যে।

ততোক্ষণে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র সদস্যরা একেক করে সকলেই জড়ো হতে থাকেন কক্সবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে। পুর্ব থেকে দুটি বাস প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে অপেক্ষমান। সকাল সাড়ে ৬টায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র সদস্যরা। লিংকরোড় থেকে যোগ দেন খোরশেদ আলম হেলালী। এরপর বাসের দুলনী খেতে খেতে আমাদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু। বাসে বিতরণ হলো সকালের নাস্তা। খাদ্য বিভাগের দায়িত্ব ছিলো ইসলাম মাহামুদ’র উপর। তিনি স্বপরিবার নিয়ে উখিয়া থেকে আমাদের সাথে সফর সঙ্গী হন। এ ফাঁকে ওই বাসে সকলের হাতে সকালের নাস্তা তুলে দেন হুমায়ুন সিকদার ও আরমান। সকাল ৯টায় টেকনাফ হ্নীলার দমদমিয়া কেয়ারী ঘাটে বাস পৌঁছে। দুটি বাসের সেন্টমার্টিন যাত্রাকালে কেয়ারী যাত্রী ছাউনিতে কিছুক্ষণ অবস্থান নেয়ার পর সকাল সাড়ে ৯টায় কেয়ারী ক্রুজ এন্ড ডাইনে একে একে সকলেই অবস্থান নিই। কিছুক্ষণ পর সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে কেয়ারী জাহাজ নাফ নদী উভয় পাশের্^ সবুজ গাছগাছালি ও জলরাশি অবলোকন করতে করতে মায়ানমার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় সেন্টমার্টিন ঘাটে পৌঁছায় সাংবাদিক ইউনিয়নের আনন্দ ভ্রমণ……….। ঘাটে নেমে সেলফি ভাইরাস শুরু হয়ে যায়। সেলফি নিতে নিতে পায়চারি করে হোটেল ময়নামতি গিয়ে পূর্ব নির্ধারিত যার যার কক্ষে বিশ্রাম নিতে থাকে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে যে ক্লান্তি অবশেষে তা দূর করতে এক সিলকা বিশ্রাম নিতে ভুল করেনি কেউ। কিছুক্ষণ পর সালাতুজ জুহুর আদায় করে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেয় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সদস্য ও নিজ নিজ পরিবারবর্গ। মূলত এটা ছিল একটি ফ্যামেলি গেটটুগেদার। কক্সবাজার টু সেন্টমার্টিনে দুই দিনের ভ্রমণে এ মিলনমেলা বসে। ।

জাহাজে যাওয়াটা অনেক উপভোগ্য। প্রথমে নাফ নদী। তার পর সমুদ্র। একপাশে বাংলাদেশ, অন্যপাশে মায়ানমার। গাংচিলের উড়ে চলা। সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। সকলে সেলফিতে করতে থাকি। সেখানে কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুস সহ মোট ৫টি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে কুতুবদিয়া। টেকনাফ থেকে ৩৪ কিলোমিটার দক্ষিণে সেন্টমার্টিন দ্বীপ অবস্থিত।

বাংলাদেশ ফেডারেশন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভাই রাতে সূদূর ঢাকা থেকে আমাদের সাথে সেন্টমার্টিনে আনন্দ উপভোগ্য করতে তিনি সরাসরি কেয়ারী ঘাটে সকাল ৯টার আগেই উপস্থিত হন। যেন তিনি আমাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছেন। এরপর জাহাজে উঠে দেখি পুরো শীপটাই যেন আমাদের ভ্রমণে নিয়ে যাচ্ছে। জাহাজে সিট নির্ধারণ করতে তেমন একটা ব্যঘাত ঘটেনি। এদিকে ওই আনন্দ ভ্রমণ সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার যেন ইতিহাস তৈরী করে নিলেন। বঙ্গোপসাগরে ভাসমান জাহাজে অনুষ্ঠিত হলো আনন্দ সভা। যাত্রা পথে দুই ঘন্টার সভায় উঠে আসল ভ্রমণের পরবর্তী দিক নির্দেশনা। আর ভিন্নমাত্রার আনন্দ সভার পাশাপাশি পিকনিক আয়োজনে সাংবাদিক ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান সকলেই।

আলোচনা শেষ হতেই হুরর…..লটারী…লটারী বলে সবার মাঝে ভিন্ন চরিত্রে হাজির হন ইউনিয়নের সদস্য ছৈয়দ আলম। উদ্দেশ্য রাতে র‌্যাফেল ড্র বিতরণ। অনেকে পুরষ্কার পাওয়ার আশায় একাধিক লটারী কিনেছেন। স্বচ্ছ নীল পানির বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে দ্বীপটির কাছে যেতেই মনে হচ্ছে যেন অসংখ্য নারিকেল গাছ মাথায় নিয়ে টাইটানিক জাহাজের মত দ্বীপটি সাগরের লোনা পানিতে ভাসছে আর আকাশটাকে ধরে রেখেছে।

দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা সমুদ্র ভ্রমণ শেষে অবশেষে বেলা সাড়ে ১২টার মধ্যে পৌছে গেলাম দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। জাহাজে সাংবাদিক ইউনিয়নের লগো সম্বলিত লাল গেঞ্জী পড়ে সদস্যরা যখন হোটেলের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, প্রত্যক্ষদর্শীদের চিনতে বা জানতে হয়নি আমাদের পরিচয়। জাহাজ থেকে নেমেই সবাই চলে গেল নির্ধারিত কটেজে। সাগর থেকে মাত্র ৫০ গজ দুরত্বে হোটেল হওয়ায় লোভ সামলাতে পারলা কেউ। রুমে ব্যাগ রেখেই দ্রুত কয়েকটি সেলফি তুলে ফেসবুক বন্ধুদের জানান দিলাম। সফরসূচি ১১ ও ১২ মার্চ পূর্ব থেকে নির্ধারণ থাকলেও আবহাওয়া প্রতিকূলের কারণে তা পিছিয়ে ১৮ ও ১৯ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। ভ্রমণে সেন্টমার্টিন দ্বীপের সৌন্দর্য্য উপভোগ করার আগেই যে যার মত নেমে পড়ল সাগরে। সেন্টমার্টিনের মূল আকর্ষণ হলো প্রবাল। এখানে আছে ২০ রকমের শৈবাল। এর মধ্যে গ্রিসিলারিয়া, উলরা টারবিনাসিয়া, পাদিনা, সারসাসাম। উদ্ভিদের মধ্যে নারিকেল গাছের পরেই নজর কাড়ে কেয়া গাছ। প্রবাল গুলোর উপরে যখন দাড়িয়ে ছিলাম পানির ঢেউগুলো এসে প্রবালের উপরে আছড়ে পড়ার দৃশ্য এক অন্যরকম চিত্র মনে হচ্ছিল। ততোক্ষণে সাগরতীরে পায়চারীর সঙ্গী হন একে অপরের। সাগরের একটু গভীরে যেতে সাহস যোগালেন তারা। অন্যদিকে ফুটবল নিয়ে মগ্ন ছিলেন অন্যরা। সাগর থেকে উঠে এবার সবাই মিলে দুপুরের খাবার খেলাম হোটেলের নিজস্ব রেষ্টুরেন্টে। সন্তানের প্রতি ভালবাসায় সব সময় সতর্ক ছিলেন অনেকে। সন্তানদের নিজ হাতে খাওয়ানোর পাশাপাশি স্ত্রীদের আপ্যায়নের কমতি ছিলনা………….।

বিকালে যে যার পছন্দনীয় স্থান পরিদর্শনে বের হন। সাইকেল ভাড়া নিয়ে দৈনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে সাইক্লিং করে কয়েকজন পাথর আর জলরাশি অবলোকন করতে থাকে। বিকেলে এম.আর মাসুদ’র সহযোগিতায় ইউনিয়নের সভাপতি একাদশ বনাম সাধারণ সম্পাদক একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, পরে শিশুদের দৌঁড় প্রতিযোগিতা এবং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএএম আশেক উল্লাহ’র পরিচালনায় মহিলাদের ইভেন্ট চেয়ার খেলা উপভোগ্য ছিল।

পিকনিকের আরেক আকর্ষণীয় ইভেন্ট র‌্যাফেল ড্র। রাতের খাবার শেষে সারাদিন বিক্রিত র‌্যাফেল ড্র এর পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান হয় রেষ্টুরেন্ট রুমে। ইউনিয়নের সদস্য হুমায়ুন সিকদারের পরিচালনায় র‌্যাফেল ড্রতে সহযোগিতায় ছৈয়দ আলম ও আজিজ রাসেল তারা ড্র অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে তোলে। আজিজ রাসেল রাখাইন ভাষায় কথোপোকথন সকলের দৃষ্টি কাড়ে। এর আগে পাঁচ মিশালী কুইজ ও শিশুদের ক্রীড়া দায়িত্ব পালন করেন এম বেদারুল আলম ও সরওয়ার সাঈদ। ছোট্ট কোমলমতি কয়েকজন শিশুরা একেক করে প্লাষ্টিকের ঝুঁড়ি থেকে কূপনের অংশ তুলেন। প্রতিটি কূপনের বিপরীতে পুরষ্কার জিতে নেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যরা। সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ’র পরিচালনায় এক প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত জিএএম আশেক উল্লাহ। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম। এতেও অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন, দৈনিক সৈকত সম্পাদক ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবর রহমান, দি ডেইলি সান এর কক্সবাজার প্রতিনিধি আবদুল মোনায়েম খাঁন, দৈনিক দিনকাল এর প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম হেলালী, এনটিভি প্রতিনিধি ইকরাম চৌধুরী টিপু, দৈনিক সৈকতের নির্বাহী সম্পাদক আনসার হোসেন ও কবি রুহুল কাদের বাবুল। ইউনিয়নের সদস্য হুমায়ুন সিকদার ভ্রমণে বিজ্ঞ কলম সৈনিক (সাংবাদিক) সকলকে একটি করে নিজ উদ্যোগে কলম উপহার দেন। আনন্দ ভ্রমণে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএএম আশেক উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ ও নুরুল ইসলাম হেলালী। পুরো ২ দিনে সকলের পরিবার পরিজনের খোঁজ খবর রাখছেন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দীর্ঘ ২ সপ্তাহ যাবৎ ভ্রমণকে সাফল্য ও যথাযথ উপভোগ্য করতে ইউনিয়নের সকল সদস্যদের কাছে যোগাযোগ ও খুদে বার্তা পাঠান। এ ভ্রমণে তার নিরলস পরিশ্রম ছাড়াও টেনশন কম ছিলনা। অপরদিকে ৪ বেলা খাবারের দায়িত্ব পালনে যথার্থ আন্তরিকতা দেখিয়েছেন ইসলাম মাহামুদ। তাকে সহযোগিতা করেন আতিকুর রহমান মানিক।

সমুদ্র ভ্রমণে গেলে মানুষের মন উদাস হয়ে যায় তা সবারই জানা। যে জীবনে কোনদিন গান গায়নি তারও সমুদ্র ভ্রমণে গেলে গলা ছেড়ে গান গাইতে ইচ্ছে করে। তবে আমাদের রাতের আড্ডার শুরুতে কেউ গান গাইতে চাইছিলনা। এমন সময় মোস্তফা সরওয়ার এর কন্ঠে নিজেই বলে উঠে ‘‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’’। এতে সুর মিলান সবাই। বেশ কয়েকটি হাস্যরসাত্মক গান আর হাসির কৌতুক উপস্থাপনের মাধ্যমে পুরো ভ্রমণ আড্ডা মাতিয়ে উঠে। সাংবাদিক ইউনিয়নের আনন্দ ভ্রমণ সফরে মোস্তফা সরওয়ার, আজিজ রাসেল, আতিকুর রহমান মানিক আমাদের সবাইকে আনন্দ, উৎসাহ আর আমোদ প্রমোদে উৎসাহ যুগিয়েছেন। তাঁদের কৌতুক শুনে হাসিতে অনেকে গড়িয়ে পড়ছিলাম। এ আড্ডায় আমরা যেন পার্থক্য ভুলে যাই। সেই আড্ডায় কৈশোরে ফিরলাম আমরা সবাই।

১৯ মার্চ (পিকনিকের দ্বিতীয় দিন) সকাল ৭টায় আমরা তখনো ক্লান্ত শরীরে ঘুমে মগ্ন। এ ফাঁকে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ কয়েকজন সফর সঙ্গীকে নিয়ে আশপাশের এলাকাও সৈকত ঘুরে বেড়ান। সকাল ৮টায় নাস্তার পরেই দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহাবুবর রহমান এর নেতৃত্বে একটি দল ছেড়াদিয়া অবলোকন করতে কাঠের বোটে পাড়ি দেন। এ ফাঁকে অন্যান্যরা পাথুরের বীচে সাইক্লিং, সাগরে গোসল ও সেলফি নিতে গাফিলতি করেনি। জন কয়েক আড্ডার ফাঁকে ফাঁকে দ্বীপের সুস্বাদু ডাবের পানি পানে লোভ সামলাতে পারেনি কেউ কেউ। এরপর দুপুর ১টায় দুপুরের খাবার শেষে প্রস্তুতি শুরু হয় ফেরার উদ্দেশ্যে।

দারুণ দুটি দিন কাটিয়ে হোটেল থেকে ত্যাগ করলাম শীপের উদ্দেশ্যে। বাজারে এসে অনেকে কেনাকাটা করলাম। ঘড়িতে তখন ২ টা বেজে ২০ মিনিট। একে একে জাহাজে উঠে পড়লাম সবাই। কিন্তু যাত্রী বাড়তির কারণে আমাদের অনেকের ফিরতে হয় বিনা সিটে। এসময় হঠাৎ ছৈয়দ আলম প্রকাশ্যে বলে উঠেন- ‘ওগ্যা আজান দও’। তখন সকলে হেসে উঠি। বিকালে আমাদের জাহাজ যখন বঙ্গোপসাগর অতিক্রম করে ফিরছিল তখন গাঙচিলের দলও যেন আমাদের সঙ্গী হলো। মনে হচ্ছে গাঙচিল আমাদেরকে ধাওয়া করছে। বাম দিকে তাকিয়ে দেখলাম অনেক দূরে ঝাপসা মায়ানমারের পাহাড়গুলো দেখা যাচ্ছে। পাহাড়গুলো যেন আকাশের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে। আর ডানে, সামনে, পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম শুধু পানি আর পানি। পানি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। গাঙচিলকে চিপস খাওয়ানোর দৃশ্য দেখতে দেখতে সন্ধ্যায় পৌছে গেলাম কেয়ারী এর নিজস্ব ঘাটে। মাগরিবের নামাজ সেরে আবারো বাসে উঠে পড়ল সবাই। বাসে উঠেও যেন মজা শেষ হয়নি।

পুরো দুটি দিনই যেন নিমিষেই শেষ হয়ে গেল আমাদের। বিভিন্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই কম সময়ে যেন সবাই আপন হয়ে গেছি। অপরিচিতদের মনে হচ্ছিল বহু দিনের পরিচয়। স্বাভাবিক ভাবেই পিকনিক শেষে একটি আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। রাত ৯টায় কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এসে ভ্রমণের ইতি টানা হয়। এ সময় অনেকে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বিদায় নেন। সকলের আন্তরিকতাপূর্ণ ও চমৎকার দুটি দিন কাটালাম আমরা। ধন্যবাদ সকলকে।

পাঠকের মতামত: