ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আইএস এর যৌন দাসী নাদিয়া এখন জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত

নিউজ ডেস্ক::

ইসলামিক স্টেট-এর যৌনদাসী হিসেবে দিনের পর দিন গণধর্ষিতা হয়েছেন। সইতে হয়েছে আরও নানান অকথ্য অত্যাচার। কাঁদতে কাঁদতে চোখের জলও শুকিয়ে গিয়েছিল এক সময়। ধর্ষণে বাধা দিয়ে মারও খেয়েছেন তিনি। এক কথায় অন্য বন্দি নারীদের মতোই তাকে যৌনদাসী করে রাখে আইএস জঙ্গিরা। অবশেষে তিন মাস পর কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন নাদিয়া। এরপর জার্মানিতে আশ্রয় চান তিনি। সেখান থেকেই ঘুরে যায় নাদিয়ার ভাগ্যের চাকা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তার এ বিভীষিকাময় জীবনের গল্প ফলাও করে প্রচার করে।

২০১৪ সালে ইরাকের নাদিয়া মুরাদকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিরা তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তারপর একাধিকবার যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় তাকে। সেই নাদিয়াই এখন জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হয়ে কাজ করার সুযোগ পেলেন। মূলত যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা এবং মানুষ পাচার সংক্রান্ত বিভাগ নিয়েই কাজ করবেন নাদিয়া। দীর্ঘ সময় ধরে আইএস জঙ্গিরা তাকে যৌন নির্যাতন করত।

nadia

যখন ইরাকের বাড়ি থেকে নাদিয়াকে অপহরণ করে জঙ্গিরা নিয়ে যায় সেই সময়ে তার চোখের সামনেই তার বাবা এবং ভাইকে খুন হতে দেখেন তিনি। তিন মাস পরে কোন রকমে সেই নরক থেকে জান নিয়ে পালাতে সক্ষম হন নাদিয়া। নাদিয়া যেহেতু ইয়াজাদি সম্প্রদায়ের, তাই অনেক বেশি অত্যাচারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাকে। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি একাধিকবার জঙ্গিদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হন তিনি।

২০১৫ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সম্মেলনে প্রথমবার নাদিয়া তার বীভৎস অভিজ্ঞতার কথা সকলের সামনে তুলে ধরেন। তিনি তার ভাষণে বলেন, কিভাবে মহিলাদের উপরে অত্যাচার করত আইএস জঙ্গিরা তা ধারণাও করা যায় না। শারীরিকভাবে নির্যাতনের পরে যখন মহিলাদের ধর্ষণ করা হত তার আগে প্রার্থনা করতে বাধ্য করতো জঙ্গিরা।

 

পাঠকের মতামত: