মাহাবুবুর রহমান. কক্সবাজার :: প্রশাসনের অনুমতি নাই তার পরও হিমছড়িতে গাড়ি পার্কিংয়ের নামে পর্যটকদের কাছ থেকে ব্যাপক হারে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এতে ক্ষোব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেছেন সদ্য কক্সবাজারে আসা পর্যটকরা একই সাথে স্থানীয় মানুষজন হিমছড়িতে বেড়াতে গেলেও তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক পার্কিং ফির নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। তবে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছে হিমছড়িতে বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে সেখানে গাড়ী থেকে কোন পার্কিং ফি নেওয়ার অনুমতি নাই।
সরজমিনে কক্সবাজারের অন্যতম পর্যটন স্পট হিমছড়িতে গিয়ে দেখা গেছে সেখানে আগত পর্যটক এবং স্থানীয়দের গাড়ি থেকে গণহারে পার্কিং ফির নামে ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। ইজারাদারের নিয়োজিত কিছু যুবক জোর পূর্বক এসব চাঁদাবাজি করছে। এ সময় পার্কিং ফির নামে চাঁদাবাজি করা এক যুবকের কাছে জানতে চায়লে তিনি বলেন, ইনানী এলাকার জসিম এক যুবক হিমছড়ি বাজার এবং পার্কিং ফির ইজারা নিয়েছে তারাই আমাদের এখানে চাকরী দিয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকজন পর্যটক অভিযোগ করে বলেন, আমরা গাড়ী নিয়ে এসে হিমছড়ি ঝর্ণা দেখে যাওয়ার সময় চাঁদাদাবী করে জোর পূর্বক পার্কিং ফি নামে টাকা নিয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা জুনায়েদ নামের এক পর্যটক বলেন, এক সন্ত্রানসহ ছুটি কাটাতে কক্সবাজার এসেছি ইনানী পাথুরে বীচ যাওয়ার পথে হিমছড়ির একটি দোকানে দাড়িয়ে সিগারেট কিনেছি দাড়িয়েছি কেন সে জন্য ২০ টাকা পার্কিং ফি নিচ্ছে এক সম্পূর্ন চাঁদাবাজি ছাড়া আর কিছু না।
খোজ নিয়ে জানা গেছে হিমছড়ি ঝর্ণা দেখতে পর্যটকদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা এবং পার্কিং ফির নামের চাঁদাবাজির বেশির ভাগ অংশ যায় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের পকেটে।
এ ব্যাপারে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন,হিমছড়িতে বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে পার্কিং ফি নেওয়ার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
পাঠকের মতামত: