চলমান ‘অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শুমারী’ কর্মসুচিকে সরকারের মহৎ পরিকল্পনা বলে জানিয়ে আন্তর্জাতিক অভিভাসন সংস্থা (আইওএম)’র ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আসিফ মুনীর বলেছেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বোঝা হিসাবে পরিচিত। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি জটিল ইস্যু। দীর্ঘদিনের সমস্যা একদিনে সমাধান হবেনা। তবে সরকারের গৃহিত অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শুমারী কর্মসুচি সফল করতে সবার আন্তরিকতা থাকতে হবে।
৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের পাহাড়তলী ইসলামপুর এলাকায় অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সাথে মতবিনিময় ও উদ্বুদ্ধকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এতে তিনি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো কক্সবাজার স্ট্যাটিস্টিক অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান ও পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম। আরাকানী রোহিঙ্গা শরনার্থী কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত এ সভায় প্রচুর পরিমাণ অনিবন্ধিত আরাকানী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করে।
সভায় শুমারীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুফল নিয়ে খোলামেলা বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগ ও সমস্যার কথা মনোযোগ সহকারে শুনেন এবং তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে চকরিয়ার কাকারা আল আমিনপাড়া, বায়তুশ শরফ লামার চিরিঙ্গা, চিরিঙ্গা স্টেশন ও জঙ্গল খুটাখালী এলাকায় বসবাসরত অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সাথে মতবিনিময় ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা করে জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা।
এসব সভায় নিজেদের সবদিক দিয়ে সুরক্ষিত করতে সরকারের শুমারীতে অংশ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আরাকানী রোহিঙ্গা শরনার্থী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ছিদ্দিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাঈদ, ইকবাল প্রমুখ। এসব সভায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে আরাকানী রোহিঙ্গা শরনার্থী কল্যাণ পরিষদ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশে অবস্থানরত আরাকানি রোহিঙ্গাদের সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা শরণার্থী কল্যাণ পরিষদ’ অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ রাখতে সহায়ত ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম কানুন মেনে চলার তাগিদ, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের মনোভাব সৃষ্টি, সর্বোপরী মৌলবাদ জঙ্গীবাদ অসম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত একটি নিরাপদ রোহিঙ্গা সমাজ বিনির্মাণের চেষ্টা করছে তারা।
পাঠকের মতামত: