এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের খিলছাদক ডাঙ্গারচর এলাকায় মাতামুহুরী নদীর প্রবাহমান একটি খালের জেগে উঠা চর (খাসজমি) দখলে নিতে বৃহস্পতিবার ভোররাত চারটা থেকে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে দূবৃত্তরা।ওইসময় তাণ্ডব চালিয়ে দেড় হাজার মণ ধান, কয়েক’শ মণ মরিচ, আলু ও শিমের বিচি, ৫০ মণ মতো চাল, গবাদিপশু, তিনটি মোটরসাইকেল, ২৪টি টিউবওয়েল, ফ্রিজ, টেলিভিশন এবং বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নগদ টাকাসহ অন্তত দুই কোটি টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। লুটপাটের পর ২৬টি বাড়ি একের পর এক আগুন ধরিয়ে দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় দূবৃত্তরা।
হামলা ও আগুনের তাণ্ডবে গৃহহীন হয়েছেন খিলছাদক ডাঙ্গারচর এলাকার নুরুল হোসাইনের ছেলে কৃষক মোহাম্মদ ইসমাইল, মোক্তার আহামদের ছেলে নুরুল হোসাইন, মোজাহের আহামদের ছেলে আনোয়ার হোসাইন ও মোহাম্মদ ফোরকান, আহামদ হোসেনের ছেলে মোজাহের আহমদ, মোজাহের আহামদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃহ আহামদ হোসেনের ছেলে মোজাম্মেল হক ও মো. জাহেদ, আবুল হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন, জসিম উদ্দিন ও জমির উদ্দিন, মকবুল আলীর পুত্র আবু তাহের, আবু তৈয়বের ছেলে শাহ আলম, সাহাব উদ্দিন,সালাহ উদ্দিন ও নেজাম উদ্দিন, আবু তাহেরের ছেলে আবু ছালেক ও বশির আহমদ, মৌলভী আব্দুল্লাহর ছেলে মো. মোস্তফা, আবুল হোসেনের ছেলে জয়নাল আবেদীন, এজাহার আহামদের ছেলে নবী হোসাইন, আবুল কাশেমের ছেলে আবু হানিফ ও আলী আকবরের পরিবার।
এদিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নারকীয় তাণ্ডবের খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার ১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান,ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাছান, হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. আমিনুল ইসলাম, কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন ও বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার। পরির্দশন শেষে সাংসদ জাফর আলম তাৎক্ষনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ২৬টি পরিবারের ব্যক্তিগত তহবিলের উদ্যোগে ২৬ বস্তা চাউল এবং বাড়ি নির্মানের জন্য সরকারি বরাদ্দ থেকে ঢেউটিন সহায়তার আশ্বাস দেন।##
পাঠকের মতামত: