ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ছবির সাইনবোর্ড পদদলিত: পেকুয়ায় প্রতিবাদ সভা করল ক্ষমতাসীনদল

pekua,,পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় প্রতিবাদ সভা করল ক্ষমতাসীনদল আ’লীগ। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ কমিটির প্রধান কার্যালয় থেকে সাইনবোর্ড উঠিয়ে ফেলানোর প্রতিবাদে এ প্রতিবাদ সভা আহবান করা হয়েছে। উপজেলা আ’লীগ,জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির যৌথ উদ্যোগে এ সভা গতকাল শনিবার ২৯ জুলাই অনুষ্টিত হয়। বিকেলে আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্টিত ওই প্রতিবাদ সভায় উপজেলা, ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দসহ তৃণমুলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বক্তারা বলেছেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাহাদুর শাহ সে দিন সন্ত্রাস ও জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির দলীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড অপসারন করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ওই সাইনবোর্ডটি প্রকাশ্যে পদদলিত করা হয়েছে। যা অত্যন্ত বর্বরোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা। বাহাদুর শাহ রাজাকারের অনুসারী। তার কি স্পর্ধা। জাতির মহান নেতা ও গণমানুষের নেত্রীর ছবি সম্বলিত সাইনবোর্ড পদদলিত করার এ সাহস সে কিভাবে পেলেন। আমরা এ চাটুকারের অবিলম্বে গ্রেফতারসহ তার বিরুদ্ধে আইনী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পেকুয়ার প্রশাসনকে আহবান করছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। কখনও অন্যায় ও পেশী শক্তির কাছে মাথানত করিনি। সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী অর্জনের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের। বাহাদুর শাহ একজন কুলাঙ্গার। সে স্বৈরাচার ও সামরিক জান্তার অনুসারী। এ জঘন্য অপরাধের জন্য তার কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রগতির সৈনিক। এখনও শেষ হয়ে যায়নি। জাতির জনকের ছবির অবমাননা যে করেছে তার শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের আপোষ নেই। ওই দিন বিকেলে এ সভা অনুষ্টিত হয়। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরীর বিটুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির উপজেলার সদস্য সচিব আবুল কাসেমের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম মেম্বার, বশিরুল আলম,আ’লীগ নেতা মোস্তাক আহমদ, শেখ আহমদ, খাইরুল এনাম, নুরুল কবির, রশিদ আহমদ, তোফাজ্জল করিম, শাহ জামাল মেম্বার, আবুল কাসেম আজাদ, আবু তৈয়ব, জহির মাতবর, ছৈয়দ নুর চেয়ারম্যান, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী চেয়ারম্যান, ছরওয়ার কামাল, কামাল হোসেন, আবুল হোসাইন শামা, বেলাল উদ্দিন, আজম খান, নাছির উদ্দিন, যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ বারেক, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, সাংবাদিক জালাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ হাসেম, যুবলীগ নেতা বাদশা, আবদুল করিম, কৃষকলীগ নেতা বদিউল আলম, মাস্টার নেজাম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওসমান গণি মেম্বার, সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ছাত্রলীগ নেতা আমিনুর রশিদ, মুহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ। এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব আবুল কাসেম জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সন্ত্রাস, জঙ্গি প্রতিরোধ কমিটির সাইনবোর্ড পদদলিত করার বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কার জনক। এটি আমাদের হৃদয়ে আঘাত করার সামিল। আমরা প্রতিবাদ সভা করেছি। দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তার বিরুদ্ধে আইনী প্রদক্ষেপ নিতে হবে। বিষয়টি প্রত্যক্ষ করছি। অন্যথায় কর্মসুচীর দিকে যাব আমরা। মিটিং হয়েছে দুটি বিষয়ে। অপর বিষয়টি আগামী ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ব্যাপকভাবে কর্মসুচীর মাধ্যমে পালন করবে পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে।

############

পেকুয়ায় সিএনজি চালকের দোকান ভাংচুর

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় সিএনজি চালকের দোকান ভাংচুর করেছে দুবৃর্ত্তরা। উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাজী বাজারে গত শুক্রবার ২৮ জুলাই রাত ১০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, চান্দারপাড়ার মৃত ইদ্রিস আহমদের ছেলে আবদুল মালেক ২শতক জায়গা বিক্রি করেন কোদাল্লাদিয়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে সিএনজি চালক শেফায়াত উল্লাহকে। সম্প্রতি ওই জায়গার রেজিস্ট্রি সম্পাদন হয়। গত এক সপ্তাহ আগে খরিদা মালিক শেফায়াত তার ক্রয়কৃত জায়গায় কাজী বাজারে দোকানঘর নির্মাণ করে। ওই দিন রাতে ওই দোকানঘরটি গুড়িয়ে দেন দুবৃর্ত্তরা। শেফায়াত উল্লাহ জানায়, চান্দার পাড়া এলাকার মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে ইয়ার মোহাম্মদ মিয়া ও তার ভাই নুর মোহাম্মদ ভূট্রো আমার নিকট থেকে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করছিল। গত কয়েকদিন ধরে তারা চাঁদা না পেয়ে আমাকে হুমকি দিয়েছিল। আমি চাঁদা না দেয়ায় ওইদিন রাতে তারা দুভাইয়ের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি চক্র আমার দোকান ঘর গুড়িয়ে দেয়। বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছি। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত পক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় তাদের বক্তব্য দেয়া যায় নি।

 ###############

পেকুয়ায় মামলার বাদীনিকে পেটালেন আসামীরা

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় মামলার বাদীনিকে পেটালেন আসামীরা। ওই ঘটনার জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত শনিবার ২৯ জুলাই সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হরিণাফাড়ি এলাকায়। আহত ওই মহিলার নাম সেতারা বেগম(৫০)। তিনি ওই এলাকার হাব্বান আলীর স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ৫শতক জায়গা নিয়ে হাব্বান আলী ও আহমদ ছবির মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে একাধিকবার ঘটনা ঘটেছে। চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি সিআর মামলা রুজু করা হয়। যার নং ৬৬৯/১৭। এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর বিষয়ে আহমদ ছবি গংদের বিরুদ্ধে মামলাটি রুজু করেন হাব্বান আলীর স্ত্রী সেতারা বেগম। পেকুয়া থানার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করা হয়েছে। ঘটনার দিন সকালে সেতারা বেগমের নাতনী তাহামিনা ফারজানা জেসি নামের ৫ বছরের শিশু পাশর্^বর্তী দোকানে যাচ্ছিল। এ সময় ওই শিশুকে পিটিয়ে আহত করে আহমদ ছবির মেয়ে হামিদা বেগম। এর সুত্র ধরে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় সেতারা বেগম ওই স্থানে গেলে ক্ষেপে যান প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় তাকে লাঠি ও ইট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ব্যাপারে সেতারা বেগমের ছেলে শাহনেওয়াজ বিটু জানায়, তারা আমার মাকে নিষ্টুরভাবে পিটিয়ে আহত করে।

##############

মাতাল স্বামীর পিটুনি খেয়ে হাসপাতালে স্ত্রী

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় মাদকাসক্ত স্বামীর পিটুনির আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন স্ত্রী। পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামী। যৌতুকের জন্য প্রায় সময় চাপ প্রয়োগ করতেন স্ত্রীর উপর। পরকীয়া সম্পর্ক ও মাতাল এ স্বামী প্রতিনিয়ত নির্যাতন চালাতেন স্ত্রীর উপর। অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২৪ বছর সংসার জীবনে অনেকবার পিত্রালয়ে চলে যান ওই গৃহবধূ। একাধিকবার সালিশ বিচার হয়েছে। সংসারের পক্ষে ছিলেন সমাজপতিরা। সম্প্রতি মাতাল স্বামী আরো অধিক বেপরোয়া ও হিং¯্র হয়েছে। সংসারের কলহের জের ধরে গৃহবধূকে ফের পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন পাষন্ড স্বামী। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৮ জুলাই শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা মোরারপাড়া এলাকায়। আহত গৃহবধূর নাম ছেনুয়ারা বেগম(৪৩)। তিনি ওই এলাকার ছৈয়দ আলমের স্ত্রী। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্ত্রীর সাথে ছৈয়দ আলমের বনিবনা চলছিল। স্বামী স্ত্রীর সাংসারিক কলহ নিয়ে পেকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও সামাজিক ভাবে একাধিকবার ফায়সালা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতে ছৈয়দ আলম তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। ছেনুয়ারার ভাই জাফর আলম ও ছাবের আহমদ জানায়, আমার বোনের স্বামী ছৈয়দ আলম একজন যৌতুক লোভী। চার বোনের মধ্যে সবাই সুখী। কিন্তু এ বোনকে নিয়ে আমরা চিন্তিত। অনেকবার টাকা দিয়েছি ভগ্নিপতিকে। এ বয়সেও সে যৌতুকের জন্য বোনকে চাপ প্রয়োগ করছে। নির্যাতন সহ্য না হওয়ায় বোন আমাদের এখানে অনেকবার চলে আসে। কিন্তু সংসারের জন্য গিয়েছে স্বামীর কাছে। আহত স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম জানায়, আমার স্বামী নেশাগ্রস্ত। বিধবা এক মহিলার সাথে স্বামী পরকীয়ায় লিপ্ত। রাতে সেখান থেকে এসে আমাকে মা-বাবার নাম ধরে গালাগালি করে নির্যাতন চালায়। সংসারে ছেলে মেয়েদের ভরণ পোষনে তার কোন খেয়াল থাকে না। শুধু মারধর করে আমাকে।

################

পেকুয়ায় জাপা নেত্রীর বসতবাড়িতে আগুন

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় অগ্নিকান্ডে উপজেলা জাপা নেত্রীর বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনের সুত্রপাত নিয়ে প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছেন বাড়ি মালিকের স্ত্রী। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে । গত শনিবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের সেগুনবাগিচা এলাকায় অগ্নিকান্ড সংঘটিত হয়েছে। এতে আসবাবপত্র, মালামাল, নগদ টাকা, স্বর্নালংকার সহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পারিবারিক সুত্রে জানিয়েছে। এ বিষয়ে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাড়ির মালিক মোঃ জকরিয়ার স্ত্রী পেকুয়া উপজেলা জাপার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদিকা তাহেরা বেগম। প্রাপ্ত সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকাল ১০টায় জারুলবনিয়া সেগুনবাগিচা এরাকায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাধে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ি আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওই বসতবাড়ি খন্ড খন্ড অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পত্যক্ষদর্শীরা ধারণা করছেন পেট্রোল দিয়ে আগুনের শুত্রপাত ঘটায়। মোহাম্মদ জকরিয়ার স্ত্রী জাপা নেত্রী তাহেরা বেগম জানায়, ঘটনার দিন আমি পেশাগত (বেসর সরকারী চাকরী) দায়িত্ব পালন করতে পেকুয়া যায়, সেই দিন আমার স্বামীও বাড়িতে ছিলনা। পথিমধ্যে একই এলাকার আলী আহমদের ছেলে শামসু উদ্দিন গং এর লোকজন দীর্ঘদিনের শত্রুতা হাসিল করতে আমার বসত ঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটায়। এ বিষয়ে পেকুয়া থানায় অবহিত করেছি। গতকাল পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসবেন। এব্যাপরে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত মনজুরুল আলম জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত পুর্বক অভিযোক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: