ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সিএনজি অটোরিক্সা চালক হোসাইন হত্যাকান্ডের মুলহোতা গ্রেপ্তার

mail.google.comগিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের জালিয়াচাং এলাকার আব্বাছ উদ্দিনের ছেলে ও সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো.হোসাইন প্রকাশ হোসাইয়া হত্যাকান্ডের জট খুলতে শুরু করেছে অবশেষে। হত্যাকান্ডের ২০ দিনের ব্যবধানে ওই ঘটনার অন্যতম প্রধান হোতা রেজাউল করিম (১৮) কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন। পেকুয়া থানা পুলিশ জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত রেজাউল ওই হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পেকুয়া থানার এস.আই সুমন চন্দ্র বিশ্বাস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে টৈটং ইউনিয়নের কাছারীমুরা এলাকা থেকে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই সুমন জানিয়েছেন, ১৬৪ স্বীকারোক্তিতে আসামীর কাছ থেকে ওই হত্যাকান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এদিকে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো.হোসাইনের হত্যাকান্ডের অন্যতম ওই আসামীকে গ্রেপ্তার করায় স্বস্তি ফিরে এসেছে শ্রমিকদের মাঝে।

উল্লেখ্য যে, গত ২৬ মার্চ রাতের যেকোন সময়ে একদল দূর্বৃত্তরা সিএনজি চালক মো.হোসাইন (১৮) কে গলা কেটে হত্যা করে। তার লাশ ফেলে দেওয়া হয় ধান ক্ষেতে। পরদিন সকালে টৈটংয়ের টেইট্ট্যাখালী বিল থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন আব্দু রহমান নামে এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশ।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মো.মোস্তাফিজ ভুইয়া বলেন, মো.হোসাইন হত্যাকান্ডের গুরুত্বপুর্ণ আলামত ও তথ্যাদি ধৃত আসামীর কাছ থেকে পাওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, পেকুয়ার বেশকিছু চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামীকে ইতিমধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামীদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।

 ###############

পেকুয়ায় ভূকম্পনে ধ্বসে গেছে পাহাড়ি সড়ক : দূর্ভোগ চরমে

গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ভুকম্পনে ধ্বসে গেছে গ্রামীন প্রধান সড়ক। এতে করে গত দুদিন ধরে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের পুর্ব টৈটং মধুখালীর সাথে হাজীবাজারের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। গত কয়েক দিন পূর্বে সৃষ্ট শক্তিশালী ভুকম্পনে বিরুপ প্রভাবে টৈটং ইউনিয়নের পাহাড়ি ওই গ্রামীন সড়কের প্রায় ৩০মিটার বিলীন হয়েছে।

এদিকে সড়ক ধ্বসে যাওয়ায় পুর্ব টৈটং এলাকার জনজীবনে চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় হাজীবাজার টৈটং বাজার ও বনকানন ষ্টেশনের সাথে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা থেমে গেছে।

ফলে পাহাড়ি অঞ্চল থেকে উৎপাদিত শত শত টন কৃষিজাত পণ্য অবিক্রিত অবস্থায় রয়েছে। সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় পরিবহন সংকটের কারনে স্থানীয় অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। গত বুধবার রাতে সারাদেশে শক্তিশালী ভুকম্পন অনুভুত হয়।

টৈটং এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওইদিন সৃষ্ট ভুকম্পনের আঘাতে হাজীবাজার টু মধুখালী সড়কের ছনখোলারজুম পয়েন্টে ফজল কবিরের দোকানের নিকট প্রায় ৩০ মিটার সড়কে ধ্বসে পড়ে পাহাড়ি ছড়ায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সোনাইছড়ির প্রবাহমান ছড়ায় ওইস্থানে গভীর খাদে পরিনত হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে সড়কটি ঝুকিপূর্ণ হয়। আর ওই দিন সৃষ্ট তীব্র ভুকম্পনের ঝাকুনিতে সড়কের বিপুল অংশ ছড়ার খাদে পড়ে। এদিকে স্থানীয়রা যাতায়াতের জন্য পার্শ্বে লাগোয়া ৩০ ফুট বিকল্প সড়ক সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। যান চলাচল ও জনসাধারনের যাতায়াতের জন্য ফজল কবিরের দোকানের পাশে বিকল্প সড়ক তৈরি করে। তবে সরকারের রিজার্ভ ভুমির ওই জায়গা প্রভাবশালীদের মালিকানাধীন দাবি করায় স্থানীয়দের সাথে তাদের বিরোধ দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এসড়কটি দিয়ে ৬/৭ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু অল্প অংশ বিলীন হওয়ায় দূর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। আমরা ৮/৯ফিট জায়গা ওই ব্যক্তিদের জনস্বার্থে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছি।

এ ব্যাপারে টৈটং ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমি শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়েছি। বিকল্প সড়ক সৃষ্টি না হলে মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। জনসাধারন চলাচল উম্মুক্ত রাখতে সামান্য অংশ বিকল্প সড়কের জন্য খুলে দিতে হবে।

পাঠকের মতামত: