পেকুয়া প্রতিনিধি :::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচুরা গ্রামে সীমানা বিরোধ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের স্কুল ছাত্রসহ ৬জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শুক্রবার (২৮) জুলাই সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন সুতাচুরা আঁতরআলী পাড়ার মৃত.খুইল্যামিয়ার ছেলে মনির আহমদ (৫৫), তার মেয়ে পুর্ব উজানটিয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী তাসমিন আক্তার (১৪), ছেলে এহসান উল্লাহ (২০), ছমিউদ্দিনের ছেলে ইলিয়াস (৩৪), সুতাচুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্র মেহেদী হাসান সাকিব (১১) ও স্ত্রী ছেনুয়ারা বেগম (৫০)। এদের মধ্যে ইলিয়াস, মনির আহমদ ও তাসমিনকে চমেক হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে মনির আহমদ গং ও ইলিয়াস গংদের মধ্যে বসতবাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার শালিসী বৈঠকও হয়। এদিন সকালে ইলিয়াস গং বসতবাড়ির সীমানায় ঘেরা দিচ্ছিলেন। এ সময় দু’পক্ষ মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। ইলিয়াস জানায় সকালে সীমানায় বাঁশের ঘেরা দিচ্ছিলাম। মনির আহমদ গং উঠানে লাকড়ী শুকাতে দেয়। ঘেরা দেয়ার সময় কিছু লাকঁড়ি আমার ছোট ভাই সাকিব সরাতে চাইলে তাসমিন সাকিবকে চড় মারে। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মনির আহমদ, এহসান, আজিজুল হক, শাকিলসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। মনির আহমদের স্ত্রী জাহেদা বেগম জানায় দীর্ঘদিন ধরে ইলিয়াস গংদের সাথে আমাদের সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ঘেরা দেয়ার সময় অহেতুক তারা উঠান থেকে লাঁকড়ি বাহিরে ফেলে দেয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে ইলিয়াস কিরিচ দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমার স্বামী ও মেয়ে তাসমিনকে মারাত্বক আহত করে। ইউপি সদস্য ওসমান গনি এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পাঠকের মতামত: