ন্যায্য ক্ষতিপূরণের দাবীতে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়া এলাকার চিংড়ি ও লবণ চাষীরা মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। ১৬ মে সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ কর্মসূচী পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করিয়ারদিয়া এলাকার ১২শ একর জায়গায় সরকার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য জমির মালিক ও চাষীদের নোটিশ দেয়া হয়। নোটিশে প্রতি একর জায়গায় নামমাত্র মূল্য ধরা হয়। অথচ ওই জায়গায় প্রতি বছর একশত একুশ কোটি বিশ লক্ষ টাকার লবণ ও চিংড়ি উৎপাদিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তারা জানান, এলাকাবাসীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কক্সবাজার বিগত ৩০ মার্চ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য আমাদের বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন। যথা সময়ে শুনানির পর দীর্ঘ ২ মাস অতিক্রান্ত হতে চলল আমরা অসহায় মানুষ গুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আমরা তা জানিনা। স্বাভাবিকভাবেই আমরা চরম অনিশ্চয়তা ও হতাশায় ভুগছি। কি ধরনের ক্ষতিপূরণ আমাদের দেওয়া হবে, বিভিন্ন ধরনের গুজবের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় জনমনে অনাস্থা, ক্ষোভ ও রোষ দিনদিন বাড়ছে।
বক্তারা বলেন, জমিগুলোর মৌজা মূল্য কম হতে পারে কিন্তু জমিসমূহ দেশ ও জনগণকে যোগান দেয় অনেক বেশি অর্থ। প্রতি একর জমিতে লবণ উৎপাদিত হয় ৭৫০ মন বা ৩০০০ কেজি বা ৩০ টন। সেই হিসেবে ১২০০ একর জমিতে তা হয় ৩৬০০০ টন। এ থেকে প্রতি কেজি লবণের মূল্য ৭ টাকা হারে আয় হয় পঁচিশ কোটি বিশ লক্ষ টাকা।
আবার একই জমিতে প্রতি একরে শুধুমাত্র ১০০০ কেজি চিংড়ি উৎপাদিত হলে চিংড়ি উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২,০০,০০০ (বার লক্ষ) কেজি। যার বাজার মুল্য ৮০০/কেজি করে হলে ছিয়ান্নব্বই কোটি টাকা। সুতরাং উৎপাদনশীল ১২০০ একর জমির বাৎসরিরক আয় একশ একুশ কোটি বিশ লক্ষ টাকা। যা দিয়ে করিয়ারদিয়া ও আশে পাশের ১৪০০০ মানুষ জীবন জীবিকা নির্ভরশীল।
বক্তারা দাবী জানিয়ে বলেন, এলাকাবাসীর অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যে জমিতে দুটি শিল্প পণ্য উৎপাদিত হয় সে জমিকে তথাকথিত লবণ মাঠ শ্রেণী বা নাল শ্রেণী থেকে উন্নীত করে শিল্প ও বানিজ্যিক শ্রেণীর জমি হিসেবে পদ্মা সেতুর আদলে আইন পাশ করে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক।
মানববন্ধনে আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট শহিদুল্লাহ, বিএনপি নেতা জামিল ইব্রাহিম সাজিদুল ইসলাম, মনোয়ার হোছাইন চৌধুরী, হেফাজতুর রহমান টিপু, জয়নাল আবেদীন হায়দার, কফিল উদ্দিন চৌধুরী, মৌ: মনজুর হোছাইন চেওধুরী করিয়ারদিঘী এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
- চকরিয়ায় অভিযোগের ৪ মাসেও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের তদন্ত হয়নি
- জেলার শীর্ষ গরুচোর বহু মামলার আসামী নবী হোছাইনসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- পেকুয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় দুই আ’লীগ নেতা জেল হাজতে
- চকরিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা মানছে না পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে নতুন দুই জোড়া ট্রেন
- চকরিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ, কাটা হচ্ছে পাহাড়
- ঈদগাঁওয়ে মেলা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ও ইউএনওকে স্মারকলিপি প্রদান
- চকরিয়ায় আলোচিত সেনা কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় চারমাস পর ১৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল
- চকরিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে দুটি মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করেছে প্রশাসন
- কক্সবাজারস্থ উখিয়া সমিতির বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন
- চকরিয়ার দুই ইয়াবা পাচারকারী পটিয়ায় গ্রেফতার, মাইক্রোবাস জব্দ
- মিলেমিশে চলছে সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংসের প্রতিযোগিতা
- চকরিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে দুটি মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করেছে প্রশাসন
- চকরিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ, কাটা হচ্ছে পাহাড়
- মালুমঘাট সড়ক দূর্ঘটনায একজন নিহত
- চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক ও সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- কক্সবাজারস্থ উখিয়া সমিতির বার্ষিক বনভোজন সম্পন্ন
- চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলবে নতুন দুই জোড়া ট্রেন
- পেকুয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলার ঘটনায় দুই আ’লীগ নেতা জেল হাজতে
- চকরিয়ায় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে বৃদ্ধের মৃত্যু
- জেলার শীর্ষ গরুচোর বহু মামলার আসামী নবী হোছাইনসহ তার বাহিনীকে গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
- চকরিয়ায় আলোচিত সেনা কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় চারমাস পর ১৮ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল
পাঠকের মতামত: