পেকুয়ায় বেঁিড়বাধ নির্মানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পূনবার্সন দাবিতে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। গতকাল ৬ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যেগে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। মানববন্ধনে উপকুলীয় রাজাখালী ইউনিয়নের বকশিয়াঘোনা, নতুনঘোনা ও দক্ষিন সুন্দরীপাড়ার শত শত নারী পুরুষ অংশ নেয়। এসময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সমাবেশ করে অংশগ্রহনকারীরা। বকশিয়াঘোনা বেঁড়িবাধ সংলগ্ন স্থানে অনুষ্টিত মানববন্ধন ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, উপকুল রক্ষায় রাজাখালীতে নির্মিত হচ্ছে বেড়িবাধ। আমরা সরকারের উন্নয়ন ও টেকসই বেড়িবাধ নির্মানের পক্ষে। ছনুয়া নদী ও কুতুবদিয়া চ্যানেলের ত্রি মোহনায় পশ্চিম ও উত্তরের বেড়িবাধ সংলগ্ন জায়গায় আমাদের প্রায় ৭০টি পরিবারের বসবাস রয়েছে। তারা মূলত দরিদ্র ও নিঃস্ব। ভুমিহীন এসব অসহায় পরিবার জায়গা সংকুলানের কারনে বেড়িবাধে মাথা গোজার ঠাই করে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রায় ২৪/২৫বছর ধরে বসবাস করছে। অনেক পরিবার ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। আবার অনেকেই জেলে পরিবার। তারা পাশর্^বর্তী সাগর থেকে মৎস্য আহরন করে সংসার চালায়। তারা নিতান্ত অসহায়। সরকার তাদেরকে পুনবার্সন সহায়তা না দিলে এসব পরিবার চরম ঝুকির মধ্যে পতিত হবে। বেড়িবাধে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫/২০টি পরিবার উচ্ছেদ হয়েছে। তারা খোলা আকাশের নিচে চরে তাবু টাঙ্গিয়ে মানবেতর দিনাতিপাত করছে। ১৯৯২ সালে বেড়িবাধ নির্মান করে পাউবো। বর্তমান যারা বসবাস করছে এরা পাউবোর ইমবেকম্যান সেটেলার(ইস)। বেড়িবাধ রক্ষনাবেক্ষন, বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্যার জন্য তাদের সাথে সরকারের চুক্তি আছে। আমরা জনগন অসহায় এসব পরিবারের পুনবার্সন দাবিতে মানববন্ধন করছি। ওইদিন মানববন্ধনে আয়োজন করেন উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের সি.সহ-সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দা মনছুর আলম। এব্যাপারে তিনি বলেন, আমার এলাকার এসব মানুষ নিতান্ত অসহায়। এরা উচ্ছেদ হলে যাবে কোথায়। গেল বর্ষায় অনেক বাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। তারা এসব ধার কর্জ্জ করে সংস্কার করে। ৬মাসের মধ্যে উচ্ছেদ হলে এরা কঠিন মানবিক বিপর্যয়ে পড়বে।
রাজাখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল বলেন, আগে অসহায় মানুষগুলোকে রক্ষা করতে হবে। উন্নয়ন হচ্ছে ধারাবাহিক। কিন্তু মানুষের বিপর্যয় মানবতার জন্য হুমকি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পানি সম্পদ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি যেন আমার অসহায় পরিবারগুলোর পুনবার্সন নিশ্চিত করেন।
এব্যাপারে সুচিন্তা বাংলাদেশ এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক, জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ড.মোহম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজীব বলেন অবশ্যই এসব পরিবারের দুরাবস্থার চিন্তা করতে হবে। তাদেরকে পুনবার্সন জরুরী। আমি দাবি করছি এদেরকে পুনর্বাসনের আওতায় আনা হোক।
পাঠকের মতামত: