ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার

্র্র্র্রপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় মার্কেটগুলোতে মানুষের প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। জমজমাট ঈদ বাজার চলছে পেকুয়ায়। রমযানের শুরুর আগ থেকে ক্রেতারা কেনাকাটার জন্য ব্যস্ত হয়ে যান। বর্তমান রমযান অর্ধেক হয়ে গেছে প্রায়। পেকুয়ার শপিং মলগুলোতে কেনাকাটা চলছে। কবির আহমদ চৌধুরী বাজারে ঈদ বাজারের নানা পন্যের সমাহার তৈরি করা হয়েছে। কেনা কাটা সারতে মহিলাদের ব্যস্ততা বেশি। প্রবাসির স্ত্রীরা কেনাকাটায় পেকুয়া বাজারের ঈদ বাজারকে প্রানবন্ত করেছে। তরুনীরা ঝুকছে ভারতীয় বেশ কিছু আইটেমের দিকে। লেহেঙ্গা, রশমি, নির্জ্ব, পাখি, দুপাট্টা, শেরওয়ানী, তুমি আসবে বলে, পাকিস্তানি কোটি, কিরনমালা, পাতাবালি তরুনীদেরকে আকৃষ্ট করেছে। তবে গত বছরের মত কিরনমালার মাতামাতি একটু ম্লান হয়েছে। প্রবাসিরা বিদেশ থেকে অর্থ উপর্জন করে। তাদের হাতে টাকা পয়সার অভাব নেই। তাই তাদের স্ত্রী ও কন্য সন্তানরা ঈদ বাজারে কেনাকাটা আগে থেকে সামিল হয়েছে। পেকুয়ায় অন্যান্য বারের চেয়ে এবার স্থানীয় অর্থনীতিতে চাঙ্গাভাব। গত বছর ঈদ রমযানের সময় উপজেলার বিপুল এলাকা পানির নিচে ছিল। হাজার হাজার পরিবার ঈদের আনন্দ উপভোগ্য করতে পারেনি। তবে এবার এ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। আষাঢ মাস বৃষ্টির মাস। কিন্তু আকাশ মেঘলা নেই। এটিও ঈদ বাজারের জন্য অনুকুল পরিবেশ। পেকুয়ায় সব পোশাকের নান্দনিক সমাহার তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। পুরানো আইটেম বাদ দিয়ে এখন শপিং মলগুলোতে আপডেট পোশাক শুভা পেয়েছে। তরুনরা ঝুকছেন গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, ফতোয়া, জিনস প্যান্ট এর দিকে। কিশোর ও শিশুদের পোশাক হাত বাড়ালে পাওয়া যায়। কবির আহমদ চৌধুরী বাজার কেন্দ্রিক সব মার্কেটগুলো উপজেলার একমাত্র বিপনী বিতান। পেকুয়া বাজারের দিকে মানুষের ঝুক। ঈদ কেনাকেটার জন্য মার্কেটগুলো সম্প্রসারিত হচ্ছে। হকার মার্কেটও জমে উঠেছে জমজমাট ঈদ বাজার। গ্রামীন সভ্যতাতে এখনো লুঙ্গির কদর সবচেয়ে বেশি। দুর্গম ও অনুন্নত এলাকাগুলোতে ঈদ কেনাকাটায় লুঙ্গির বিকিকিনি বেশি। যুবক, কিশোর ও বয়স্করা ঈদের দিন নতুন লুঙ্গি ও পোশাক পরিধান করে। মার্কেটগুলোতে গৃহবধুরা ভীড় জমাচ্ছে। তাদের পছন্দের হচ্ছে শাড়ী। রং বেরঙ্গের দেশীয় শাড়ি কিনছে তারা। কাবিরি, পার্টির শাড়ি, কাতান শাড়ি, জর্জেট, ষ্টোন, পাকিস্তানি, ইন্ডিয়ানী, চোখের তারাসহ বিভিন্ন নামের শাড়ির কদর বেড়েছে এবারে ঈদ বাজারে। রাঙ্গা বউ, শাড়িকা, মনে রেখ, সুন্দরী ক্লথ ষ্টোর, লস্কারশাহ ক্লথ ষ্টোর, জারা, মা ফেব্রিকস, বাগদাদ ক্লথ ষ্টোর, জননী ক্লথ ষ্টোর, স্টার প্লাস, শাড়ি মেলায় মহিলাদের পোশাক প্রধান্য দেয়া হয়েছে। এসব দোকানগুলোতে সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে ক্রেতাদের চাহিদা মত। ইলাহী ষ্টোর, সাথী ষ্টোর, ঝলক ফ্যাশন, শাহ খিজিরিয়া ষ্টোর, শাহ রশিদিয়া ষ্টোর, ইমাম রাব্বানী ষ্টোর, বিনিময় ষ্টোর, আরাফাত ষ্টোর, আজমগড়ি ষ্টোর, স্টার গোল্ড, মদিনা ষ্টোর, ভাই ভাই ষ্টোর, ষ্টার ঝলসা, বিগবসসহ আরো বেশ কিছু ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে পাওয়া যাচ্ছে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের পোশাক। মহিলাদের নানান কসমেটিকস। সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুদের পাদুকা পাওয়া যাচ্ছে আরএক্স, ডাটা বাজার, বাটা শো-রুম, এপেক্স শো-রুমে। ঈদে ক্রোকারিজ দোকানগুলোতে কেনাকাটার ভীড় জমেছে। জুয়েলারী দোকান গুলোতেও মহিলারা কেনাকাটা করছে। অনুরপা জুয়েলার্স, সৌদিয়া জুয়েলার্স, কনকবাহার, প্রিতম, মা-জুয়েলার্স, মা-মনি জুয়েলার্স, রাখাল জুয়েলার্স, মালেক শাহ জুয়েলার্স, মাওলানা জুয়েলার্স, জনপ্রিয়, তাজমহল, অন্তুর জুয়েলার্স, আল রিয়াদ, বার আউলিয়া জুয়েলার্স স্বর্ন দোকান গুলোতে কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছে জুয়েলার্স ব্যবসায়ীরা। পেকুয়ায় ঈদ বাজারের জমজমাট ব্যবসা চলেছে। ক্রেতা সাবিনা ইয়াসমিন, সাদিয়া জান্নাত তোহা, আইরিন জাহান, নিশাত আক্তার, কলি আক্তার, হুমায়রা, বদিউল আলম, কামাল হোসেন, জয়নাব, সেলিনা আক্তার জানায় আমরা পরিবারের জন্য পোশাক কিনেছি। পেকুয়ায় এখন সব ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আগে পোশাক পেকুয়ার বাহির থেকে কিনতাম। এখন আর পোশাকের জন্য কেনাকাটা করতে কোথাও যেতে হয়না। রাঙ্গা বউ, শাড়ি মেলা, মরে রেখ ও শাড়ীকা থেকে কাপড় কিনেছি। দামও মোটামুটি। এখানে অনেক আইটেমের কাপড় সুলভ মুল্যে পাওয়া যায়।

পাঠকের মতামত: