কক্সবাজারে পেকুয়া উপজেলার ৬ ইউনিনের নিকাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রার (কাজী) নিয়োগ বন্ধ করতে একটি সংঘবদ্ধ কুচক্রি মহল সম্প্রতি নানান ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার শুরু করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কুচক্রি ও স্বার্থন্বেসী মহল কাজী নিয়োগ বন্ধে ইতিমধ্যেই ভূঁয়া তথ্য সন্নিবেশিত করে অপপ্রচার শুরু করেছে। কুচক্রি মহলের এহেন ভুমিকায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাজী মোশারফ হোসেন ও পেকুয়ার সাব রেজিষ্টার পরিতোষকে জড়িয়ে ওই কুচক্রি মহল উদ্দেশ্যেমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ কাজী মোশরাফ বর্তমানে অবসরে রয়েছে। পেকুয়ার ৬ ইউনিনের কাজী নিয়োগে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। কাজী নিয়োগের যাবতীয় কাজ তদারকী করছেন পেকুয়ার সাব রেজিষ্ট্রার। পেকুয়ার ৬ ইউনিয়নের কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি হচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ ও সদস্য সচিব হচ্ছেন পেকুয়ার সাব রেজিষ্টার পরিতোষ। এখানে কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। পেকুয়ার সচেতন মহল অভিযোগ করেছেন, পেকুয়ার ৬ ইউনিয়নের কাজী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে গতকাল সকালের কক্সবাজার ও বিভিন্ন অনলাইনে প্রকাশিত বিভ্রান্তিকর সংবাদে কাজী একেএম মোশারফ হোসেন ও পেকুয়ার সাব রেজিষ্টারকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।
স্থানীয়রা আরো দাবী করেছেন, কাজী মোশরাফ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া ও পেকুয়ার নিকাহ ও তালাক রেজিষ্টারের দায়িত্ব অত্যন্ত সততা ও দক্ষতার সাথে পালন করে গেছেন। এখন পেকুয়ার যে ৬ ইউনিয়নে কাজী নিয়োগ হচ্ছে সেখানে তার কোন হস্থক্ষেপ থাকার প্রশ্নই আসেনা। স্থাণীয় গুটিকয়েক কুচক্রি মহল পেকুয়ার ৬ ইউনিয়নের কাজী নিয়োগ বন্ধ করতে কাজী মোশারফের মতো স্বনামধন্য ও বিশিষ্টজনকে জড়িয়ে কুৎসা রটাচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা যায়, পেকুয়ার সাব রেজিষ্টার পেকুয়ার ৬ ইউনিয়নের কাজী নিয়োগের জন্য গোপনে কোন ধরনের প্যানেল তৈরী করেনি। সরকারী কোন কাজই গোপনে হয়না। পেকুয়ার কাজী নিয়োগের বিষয়ে অত্যন্ত স্বচ্চতার ভিত্তিতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল করিম ও আলা উদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, স্থানীয় গুটিকয়েক শড়যন্ত্রকারী পেকুয়ার ৬ ইউনিয়নের কাজী নিয়োগ বন্ধের পাঁয়তারার অংশ হিসেবে অপপ্রচার শুরু করেছে। এসব কুচক্রি মহল পেকুয়ার সাব রেজিষ্টার ও কাজী মোশরাফ হোসেনকে জড়িয়ে মিথ্যাচার চালাচ্ছে। তারা এসব ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জোরালো দাবী জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত: