ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

পেকুয়ার উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনের জের অস্ত্র দিয়ে দোকানিকে ফাঁসানোর অভিযোগ!

ovijogএম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন নুর মোহাম্মদ (৪৫) নামের এক দোকানিকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকেলে চকরিয়া প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কাছে নুর মোহাম্মদের স্ত্রী রেনোয়ারা বেগম এই অভিযোগ করেন। রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উজানটিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ করিয়ারদিয়া গ্রাম থেকে কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালিয়ে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাঁর কাছ থেকে দুইটি দেশিয় তৈরি বন্দুক উদ্ধারের দাবি করে কোস্টগার্ড।

অভিযোগে রেনোয়ারা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী কাকড়া ও লবন চাষ করেন। পাশপাশি বাড়ির পাশে একটি ছোট পানের দোকান করে সংসার চালান। গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত উজানটিয়া ইউপি নির্বাচনে তাঁর স্বামী সদস্য পদপ্রার্থী এনামুল হকের পক্ষে কাজ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন বিজয়ী প্রার্থী জাফর আলম। মুলত ওই জাফর আলম তাঁর কর্মচারী জাকারিয়াকে দিয়ে তাঁর বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তা ভর্তি করে দুইটি অকেজো অস্ত্র ফেলে রেখে যায়। ওই সময় নুর মোহাম্মদ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক দুইটার দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা তাঁর স্বামীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে অস্ত্র কোথায় রেখেছে, কার অস্ত্র নিয়ে এসেছেসহ নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে বস্তা ভর্তি দুইটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে বলে জানায়। তারপর তাঁর স্বামীকে বেঁেধ নিয়ে যায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা।

নুর মোহাম্মদের স্ত্রী রেনোয়ারার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোস্ট গার্ড মহেশখালীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আমিনুল হক বলেন, নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় চারটি মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় নুর মোহাম্মদকে আমরা বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করিনি। তাকে বেড়িবাঁধের ওপর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া বলেন, নুর মোহাম্মদকে মঙ্গলবার চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী গ্রেফতারের ব্যাপারে ডেই অভিযোগ তুলেছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে।

পাঠকের মতামত: