ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়া কাটাফাঁড়ি-উজানটিয়া সড়ক পানির সাথে বিলিন হতে চলছে!

এম.জুবাইদ. পেকুয়া ::

পেকুয়া কাটাফাঁড়ি হতে সংযোগ উজানটিয়া সড়ক পানির সাথে বিলিন হতে চলছে। ফলে যেকোনো মূহুর্তে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। পেকুয়া উপজেলার অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন উজানটিয়া। প্রায় ৩০ হাজার মানুষের একমাত্র যাতায়তের সড়ক হলো এটি। রাস্তাটি নদীর পাশে হওয়ায় প্রায় সময় ঐ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। এমন সময়ও চলে আসে উক্ত রাস্তা দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারে না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পুরো রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করার পরও কোনো সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন উক্ত এলাকার সচেতন এলাকাবাসী।

স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, চলাচলের বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি মেরামত করা খুবই প্রয়োজন। তারা আরো জানান কাটাফাড়ি হতে উজানটিয়া যাওয়ার পথে ভাঙ্গন শুরু হয়। এ ভাঙ্গন ছোট হলেও সেটি আস্তে আস্তে বড় আকার ধারণ করে। ৮ ডিসেম্বর দুপুর থেকে টানা বৃষ্টি হলে ওই রাস্তায় দিয়ে চলাচল অনুপযোগী হয়ে যায়। যেকোন মহুর্তে বড় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রায় ১০০ চেইন পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে পেকুয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি এডভোকেট মীর মোশাররফ হোছাইন টিটু বলেন- পেকুয়া কাটাফাঁড়ি উজানটিয়া সড়কে যেকোনো সময় বড় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন- রাস্তাটি জরুরী মেরামত না হলে রাস্তাটির ঐ অংশ সম্পূর্ণ পানির সাথে মিলে গিয়ে জনদূর্ভোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই তিনি প্রশাসন ও সর্বস্তরের জনগণের সহযোগীতা কামনা করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌং জানান বিষয়টি খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

############

পেকুয়ায় নূর-আয়েশা মেধাবৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্টিত

স্টাফ রিপোর্টার. পেকুয়া ::

বর্তমান শিক্ষার প্রসার, মেধার লালন ও সামাজিক উন্নয়নে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়ে পেকুয়া আন্তঃ উপজেলা নূর-আয়েশা মেধাবৃত্তি পরিক্ষা অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় ফাঁশিয়খিালী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের হল রুমে এ মেধা বৃত্তি পরিক্ষা সম্পন্ন হয় উক্ত পরিক্ষায় সরকারী, বেসরকারী ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্টান অংশ নেয়। চতুর্থ শ্রেণীর ৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহনের কথা থাকলে উপস্থিতি সংখ্যা ছিল ৭২, অনুপস্থিত ১। ওই দিন নির্ধারিত ওই একটি কেন্দ্রে এ মেধাবৃত্তি পরিক্ষা নেওয়া হয়। মোহাম্মদ ইসমাঈল খানের প্রধান পৃষ্টপোষকতায় অনুষ্টিত পরিক্ষায় কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেন চট্টগ্রামের ওয়ালউল্লাহ ইনষ্টিটিউটের সাবেক প্রধান শিক্ষক আনোয়রুল ইসলাম। প্রধান পরিক্ষক ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ^ বিদ্যালয়ের ্ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছৈয়দ মোঃ তৌহিদুল ইসলাম। সহকারী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, ফঁশিয়াখালী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, পটিয়া এস এ আলিম মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক হোছাইন মোহাম্মদ ইউনুছ, পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের সিনিয়র শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও ককসবাজার ভারুয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক করিম কুতুবী। পরিক্ষা কেন্দ্রে যারা দায়িত্ব পালন করেছিলেন যথাক্রমে পেকুয়া মডেল জি এম সি ইনষ্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক ইমাম উদ্দিন আমিন ও নুর মোহাম্মদ, একে গ্রামার স্কুলের সাবেক শিক্ষক রবি উল আলম, পেকুয়া আদর্শ শিশু নিকেতনের উপাধ্যক্ষ মাসুদ মহি উদ্দিন ও আবু আব্বাস ছিদ্দিকী। ওই দিন পরিক্ষা চালাকালীন সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন পরিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ও ফাঁশিয়াখালী আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বিএসসি, মাষ্টার রুহুল আমিন, ডাঃ আব্দু রাজ্জাক, ডাঃ ইমরুল কায়েস, সমাজ সেবক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আবুল বশর। এদিকে এক ঘন্টা ৩০ মিনিটের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিক্ষা শেষ হয়। পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনুষ্টিত নুর-আয়েশা মেধাবৃত্তি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হইবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

 

পাঠকের মতামত: