এম.জুবাইদ, পেকুয়া :
পেকুয়ায় লক্ষাধিক মানুষ দূর্যোগ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পেকুয়ায় দূর্যোগ মোকাবেলা করতে সরকারী কিংবা বেসরকারী ভাবে কোন ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এখনো অরক্ষিত রয়েছে পেকুয়ার একাধিক বেড়িবাধ, নেই ঘূণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। যার ফলে উপকূল এলাকার হাজারো মানুষ চরম ঝুকিতে বসবাস করছে। এরা প্রতিনিয়ত চরম ঝুকিতে বসবাস করছে। চরম আতংকে রয়েছে উপক’লবাসী। পেকুয়া উপজেলার সমুদ্র উপক’লবর্তী মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী, পেকুয়া সদর ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের মানুষ বর্ষা মৌসুমে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও যানমালের ব্যাপক ক্ষতির সাধন হতে হয়। স্থানীয়রা জানান,পেকুয়ার উপক’লীয় এলাকার মানুষ বছরের প্রায় ৬/৭ মাস বৈরী আবহাওয়ার সাথে লড়াই করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় পেকুয়ায় বর্তমানে যে সমস্থ আশ্রয়ন কেন্দ্র আছে তাও জনসংখ্যার তুলনায় কম। পেকুয়া উপজেলায় পর্যাপ্ত আশ্রয়ন কেন্দ্র না থাকায় ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল উপক’লীয় এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্মরণকালের সবচেয়ে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রায় ৩০ হাজারের ও অধিক লোক গণহারে মৃত্যু হয়। বিলিন হয়ে যায় ঘরবাড়ী, চিংড়ির ঘের। এসব বিনষ্ঠ হয়ে চার কোটিরও অধিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এ ব্যাপারে উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান ১৯৯১ সালের চেয়েও বর্তমানে বেশি ঝুকিতে রয়েছে আমার ইউনিয়নের লোক। অরক্ষিত বেড়িবাধের ফলে সামান্য জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বিস্তির্ণ এলাকা। এ ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া এলাকার ১ কিলোমিটার ও গোদারপাড় এলাকার দেড় কিলোমিটার বেড়িবাধ ছাড়া উজানটিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাধ বর্তমানে অরক্ষিত। যেকোন মুহুর্ত ঝুকিপূর্ণ বেড়িবাধ ভেঙ্গে গিয়ে তলিয়ে যেতে পারে এলাকার লবণ, চিংড়ির ঘের। এ ইউনিয়নের ১০ টি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ঝুকিতে এড়াতে পেকুয়ার চর, টেকপাড়া, ঘোষালপাড়া এলাকায় আরো ২/৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রযোজন রয়েছে। এ দিকে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর জানান আমার এলাকায় যে আশ্রয় কেন্দ্র আছে তা ও জনসংখ্যার তুলনায় কম। জরুরি ভিত্তিতে বকশিয়া ঘোনার টেক থেকে নতুন ঘোনা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাধ চরম ঝুকিতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাহাবুব উল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পেকুয়াতে মোট ৪৮ টি সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। যার জনসংখ্যার তুলায় অপ্রতুল। নতুন ভাবে সাইক্লোন শেল্টার নিমার্ণের জন্য উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান পেকুয়ায় জনসংখ্যার তুলনায় সাইক্লোন শেল্টার নেই। এমনকি অরক্ষিত রয়েছে পেকুয়া, মগনামা, উজানটিয়ার অনেক বেড়িবাধঁ। কূলবর্তী বসবাসরত মানুষরা চরম আতংকিত ভাবে দিন কাটায়। সাইক্লোন শেল্টার নিমার্ণের জন্য উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
পাঠকের মতামত: