ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

 ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দে চলছে মাটি ভরাটের কাজ

মগনামায় পুনর্বাসন হচ্ছে সাবমেরিন ঘাটি স্থাপনে উচ্ছেদ ৭৪ পরিবার

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামায় স্থাপন হতে যাওয়া দেশের একমাত্র সাবমেরিন ঘাটির (বানৌজা শেখ হাসিনা) কারণে উচ্ছেদ মগনামার বাজারপাড়া হতে উচ্ছেদ হওয়া ৭৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে সরকারী খাস জায়গায়। কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এসব পরিবারকে পুনর্বাসনে স্থানও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলোর জন্য সরকারী খাস জায়গার ট্রেসম্যাপসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করেছেন।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারকে যেই জায়গায় পুনর্বাসন করা হবে, সেই জায়গা অনেকটা নিচু এলাকা। তাই কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম সেখানে মাটি ভরাট করার জন্য ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। এমপির বরাদ্দে এবং নির্দেশনায় মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছেন।

আজ সোমবার দুপুরে সেই মাটি ভরাটের কাজ পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম। এ সময় সাথে ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএম আবুল কাশেম, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম, এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কফিল উদ্দিন বাহাদুর প্রমূখ।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলম বলেন, ‘দেশের একমাত্র বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাটি স্থাপনের কারণে উচ্ছেদ হওয়া মগনামা বাজারপাড়ার ৭৪টি পরিবারকে অবশ্যই পুনর্বাসন করা হচ্ছে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার মাধ্যমে। এজন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে এসব পরিবারকে যেখানে পুনর্বাসন করা হবে তা সরকারী খাস জায়গা। কিন্তু সেই খাস জায়গার অবস্থান একেবারে নিচুতে। তাই আগে আমার পক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সেখানে মাটি ভরাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। এর পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হবে সরকারীভাবে।’

 

পাঠকের মতামত: