ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বানৌজা শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাটি সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এমপি জাফর আলম

ছোটন কান্তি নাথ, নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামায় নির্মিতব্য দেশের একমাত্র সাবমেরিন ঘাটি (বানৌজা শেখ হাসিনা) সংযোগ সড়কের নির্মাণকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। বর্তমান বিদ্যমান চকরিয়ার বরইতলী একতাবাজার থেকে মগনামা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার সড়ককে ১০ দশমিক ৩ পয়েন্ট প্রস্তে উন্নীত করা হচ্ছে। তিন প্যাকেজে এই সড়কটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন করা হবে আগামী ২০২২ সালের ৩০ জুনের মধ্যে।
সড়কটির বর্তমান প্রস্ত ৫ দশমিক ৫ পয়েন্ট থেকে ১০ দশমিক ৩ পয়েন্ট উন্নীতের কাজ শেষ হলে আমূল পরিবর্তন সাধিত হবে আশপাশের উপকূলীয় চারটি উপজেলার। সড়কটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করবেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘একতা বাজার হতে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি’ সংযোগ সড়ক। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬১ কোটি টাকা।
গত বছরের ২২ নভেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটির নির্মাণকাজের ভিস্তিপ্রস্তর স্থাপন ও কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি।
এদিকে সোমবার দুপুরে এই সড়কের বিভিন্নস্থানে অবৈধ স্থাপনা অপসারণসহ বহুল প্রতিক্ষিত সড়কটির নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম। একতা বাজার থেকে মগনামা পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টের কাজ পরিদর্শনের সময় এমপির সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা জিএম আবুল কাশেম, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম, এমপির ব্যক্তিগত সহকারী আমিন চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কফিল উদ্দিন বাহাদুর প্রমূখ।
সড়কটি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার জনসাধারণের যাতায়াতের এবং চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় উৎপাদিত লবণ, আহরিত চিংড়ি ও সামুদ্রিক সম্পদ দেশের অন্যান্য স্থানে পরিবহনের জন্য ব্যবহার হবে। এছাড়া মগনামা ঘাঁট হতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ওপর দিয়ে ৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে যাতায়াত একেবারে সহজ হবে। এতে উপকৃত হবেন উপকূলীয় এলাকার অন্তত ১০ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠি।
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারভূক্ত এই প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে যাতে শেষ হয় সেজন্য কাজের সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছি। সড়কটি নির্মাণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ যেখানে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেখানে উপস্থিত হয়ে সমাধান করছি।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, প্রকল্পের আওতায় এক কিলোমিটার হতে ৬ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কাংশ প্রশস্তকরণ, ৬ কিলোমিটার হতে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কাংশের পেভমেন্ট উঁচুকরণ, প্রশস্ততকরণ ও শক্তিশালীকরণ। আবার ২০ কিলোমিটার থেকে ২৩ কিলোমিটার পর্যন্ত নতুন করে সড়ক নির্মাণ করা হবে। নতুন করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত সড়কাংশ সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনাতে’ যাতায়াতের জন্য একমাত্র সড়ক এবং যা বর্তমানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত বেড়িবাঁধ।
সওজের কর্মকর্তা আবু আহসান আজিজুল মোস্তফা বলেন, ‘দুই লেনের বাইরেও সড়কটির বিভিন্ন অংশে নির্মাণ করা হবে ছোট ছোট সার্ভিস লেনও। যাতে লোকাল গাড়িগুলোও ওয়ানওয়ে চলতে পারে। পানি চলাচলের জন্যও সড়কটিতে থাকবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা।’

পাঠকের মতামত: