ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঈদগাঁও নদীর ঢলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত,জীবন জীবিকায় দূর্বিষহ

এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও ::  তৃতীয় দিনের বৃষ্টিতে ঈদগাঁওর বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। পাহাড়ী ঢলে ঈদগাঁও নদী। নদীর তীর উপচে প্রবল স্রোতে প্রবাহিত বন্যার পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পানির স্রোতে জালালাবাদের মঞ্জুর মৌলভীর দোকান নামক পয়েন্টটি ভেঙ্গে ফরাজী পাড়া,বাহারছড়া, নাই ক্ষ্যংদিয়া,মোহনভিলা,পালাকাটা,বটতলী পাড়া, চৌফলদণ্ডীর খোনকার খীল,নতুনমহাল পানিতে তলিয়ে গেছে। ভাঙ্গন কবলিত পয়েন্টের অর্ধ শতাধিক পরিবারের বসতবাড়ি,আসবাবপত্র গৃস্থালী সামগ্রী,খাদ্যপণ্য,গাছপালা,পুকুর, তৈজসপত্র পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে ঈদগাঁও মাইজ পাড়া,কালিরছড়া, ভূতিয়ার পাড়া,জাগির পাড়াসহ নানান পয়েন্টে পানিতে নিমজ্জিত।

জেলা সদরের বৃহৎ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের প্রায় ৫০ভাগ দোকান,শপিং সেন্টার, খুচরাও পাইকার দোকান,মাছবাজার,তরকারী বাজার,চালের গুদাম,ইউনিয়ন পরিষদ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,স্বাস্থ্যকেন্দ্র,ভুমি অফিসসহ ক্লিনিক পানিবন্দি। দেখা গেছে,ঈদগাঁও বাজারের প্রধান ডিসি রোড়ের ৩ ফুট উপর দিয়ে প্রবল স্রোতে বন্যার পানি প্রবাহিত হয়েছিল। ১৮ই জুন বাজার এলাকায় পানি কমে গেছে।

ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র,ভূমি অফিস,পাবলিক লাইব্রেরী,কালিমন্দির, টিএন্ডটি অফিস পানিতে ডুবা। ফুলেশ্বরী নদীর বিস্তীর্ণ দু’পারের জন বসতি অঞ্চলে থৈ থৈ করছে পানি। ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ীরা জানান,চালসহ বিভিন্ন পন্য সাসগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে।

ইসলামাবাদে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা সড়কের জাহানারা ইসলাম বালিকা বিদ্যালয় পয়েণ্ট দিয়ে ফুলেশ্বরী নদীর উপচেপড়া পানিতে ডুবে গেছে খোদাইবাড়ি,ইউছুফেরখীল,হরিপুরের নিম্নাঞ্চল। চরপাড়ার লোকজন চরম আতংকে রয়েছেন। ভাঙ্গনপ্রবণ ঐ পয়েণ্ট যেকোন মুহুর্তে ফের ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ইউছু ফেরখীলের কজনের মতে,ফুলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর,স্রোত প্রবল প্রমত্ত।
কবি নূরুল হুদা সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ জাহানারা পয়েন্টটি যেকোন মুহুর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে। আর এটি ভেঙ্গে গেলে ইসলামাবাদ ও পোক খালীর সাথে ঈদগাঁওসহ কক্সবাজার সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। জনদূর্ভোগে পড়বে এ অঞ্চলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে প্লাবিত অঞ্চলের মানুষের জীবন জীবিকা দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
অবিলম্বে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুষ্ক খাদ্য, সুপেয় পানিসহ ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছালে দুর্গত এলাকায় প্রকট মানবিকসংকট সৃষ্টি হওয়ার আশংকায় রয়েছে।

পাঠকের মতামত: