ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

পেকুয়ায় ১৫ টন ত্রাণের চাল জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৫ টন চাল জব্দ করা হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশের একটি টিম বিদ্যালয়ে গিয়ে এ চাল জব্দ করেন। বিষয়টি পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম নিশ্চিত করেছেন।

জব্দকৃত ৩০০ বস্তা চাল স্কুল শিক্ষকের জিম্মায় দিয়েছেন। চাল গুলোর কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে পেকুয়া থানার ওসি কামরুল আজম জানান। এদিকে, হোছনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলী জানান, রবিবার রাত একটার দিকে পেকুয়া থানা পুলিশ তাকে স্কুলে ডেকে নিয়ে তার স্কুলে রাখা ১৫ টন চাল তার জিম্মায় দেন।

প্রধান শিক্ষক মোস্তফা আলী আরো জানান, ২৬ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্কুলের নাইট গার্ড থেকে চাবি নিয়ে চালের বস্তাগুলো স্কুলের ভিতরে রাখেন। স্কুলে চালের বস্তা রাখার বিষয়ে তিনি আগে কিছু জানতেন না । তিনি আরো জানান, জিম্মানামায় বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দু’জন মেম্বার ও স্থানীয় একজন যুবলীগের নেতাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।

ওসি কামরুল আজম জানান, পুলিশ সব তথ্য প্রমাণ যাচাই শেষে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে পেকুয়া থানায় নিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এদিকে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পেকুয়ার বারবাকিয়া হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জব্দকৃত চাল ওই স্কুলের মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্দ করা। মাঠ ভরাট করতে ১১৭.৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করে মাঠ ভরাট কাজ চলছিল। ওই কাজের বিপরীতে বরাদ্দের চালের বেশিরভাগ ইতিমধ্যে উত্তোলন করা হয়। অবশিষ্ট ছিল ২৮ টন। এই চালের মধ্য থেকে ডিও নিয়ে ২৬ এপ্রিল ১৫ টন চাল উত্তোলন করে স্কুলে রাখা হয়।

অন্যদিকে টৈটংয়ে ত্রাণ দেয়ার জন্য ৩১ মার্চ ১৫ টন চালের একটি ডিও প্রনয়ণ পূর্বক ৬ এপ্রিল চাল উত্তোলন করা হলেও ওই চাল বিতরণ হয়নি। ত্রাণের চাল গায়েব নিয়ে পেকুয়ার কয়েকজন ব্যাক্তি ২৫ এপ্রিল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে পুরো কক্সবাজারে তোলপাড় শুরু হয়। সূত্র মতে ত্রাণের চাল গায়েব নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে একজন চেয়ারম্যান ওই চালগুলো ক্রয় করে বিতরণ করতে চেয়েছিল।

কিন্তু ২৬ এপ্রিল রাতে র‌্যাবের একটি টিম অভিযানে গেলে সব ভন্ডুল হয়ে যায়। র‌্যাব টিম চালের ঘটনাটি দেখভাল করতে পুলিশকে দায়িত্ব দিয়ে চলে যান। ২৭ এপ্রিল দুপুরে পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান বলেন, জব্দকৃত চাল নিয়ে তদন্ত চলছে। পরে জানা যাবে চালগুলো কিসের।

পাঠকের মতামত: