ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৯ শিক্ষার্থী ফেল জেএসসিতে, অভিভাবকদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৫২ সালে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে গৌরবোজ্জল ইতিহাস। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে বর্তমানে এ স্কুলে নেমে এসেছে ফলাফল বিপর্যয়। এনিয়ে চরম ক্ষোভ জানিয়েছে স্কুলে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এ বিপর্যয় সকলের নজরে আসে। ২৩৯ জন শিক্ষার্থী জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। তারমধ্যে কৃতকার্য হয় ১৬০ জন ও অকৃতকার্য হয় ৭৯ জন শিক্ষার্থী। পাস করা ১৬০ জনের মধ্যে শুধুমাত্র দুজন পেয়েছে এ গ্রেড। বাকি ১৫৮ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। যা প্রতিষ্ঠানটির এ যাবতকালের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল।

পেকুয়া উপজেলা ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফলাফলের বিচারের ১০তম মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া গতবছরের তুলনায় পাসের হারও কমেছে। এসএসসির ফলাফলেও একই অবস্থা বিরাজমান বলে জানান স্কুলটির অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

অভিভাবক আমিনুল কবির, ‘শাহ আলম ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের একান্তিক প্রচেষ্টায় মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কিন্তু পড়াশোনার মান বাড়েনি সিকি ভাগও। ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় সচেতন মহলের এ ব্যাপারে আগ্রহ থাকলেও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং প্রধান শিক্ষকের খামখেয়ালিপনায় তা সম্ভব হয়নি। তাই ফলাফলের এ বিপর্যয়।’

প্রাক্তন ছাত্র নুরুল আমিন, আশেক বিন জলিল ও সুলতান মোহাম্মদ রিয়াজ বলেন, ‘২০১৫ সালে মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন আকতার আহমদ। তখন থেকে প্রতিষ্ঠানটি চলছে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশে। এছাড়া প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে শিক্ষক আবু বক্কর, মনছুর আলম, এমএ সাত্তারসহ অসাধু শিক্ষকদের শিক্ষাবাণিজ্যের ফলে নষ্ট হয়েছে স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ। তাই প্রতি সরকারি পরীক্ষায় ভরাডুবি ঘটছে ফলাফলে। এ প্লাস পাচ্ছে না কোনো পরীক্ষার্থী।

মগনামা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার আহমদ বলেন, ‘সব শিক্ষকদের মতো আমারও চেষ্টা ছিল ভালো ফলাফল অর্জনের। কিন্তু যা ফলাফল এসেছে, তা তো আমাকে মাথা পেতে নিতেই হবে।’

মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রিয়াজুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আধিক্য ও অভিভাবকদের অসচেতনতা কারণে ফলাফলে পিছিয়ে পড়েছে স্কুল। এ পরিস্থিতি থেতে উত্তোরণে আমরা সব রকমের চেষ্টা চালাচ্ছি।’

পাঠকের মতামত: