ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় হত্যা মামলার আসামিরা পেটালেন বাদির মাকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া :: কক্সবাজারের পেকুয়ায় আবুল হাসেম চাঞ্চাল্যকর হত্যা মামলার আসামিরা এবার পেটালেন খোদ বাদির মাকে। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা রাতে বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় বসতবাড়ির ঘেরা বেড়া ভাংচুরসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।

স্থানীয়রা আহত বৃদ্ধা মহিলাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত হালিমা বেগম (৫২) ওই এলাকার নুরুল হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয় সুত্র জানায়‘২০১৮ সালে নুরুল হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী আবুল হাসেম (২৮) খুন হন। গভীর রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

পেকুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। নিহত আবুল হাসেমের বড় ভাই যুবলীগ নেতা শাহজাহান বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করে। ঘটনার দিন রাতে আবুল হাসেম হত্যা মামলার অন্যতম আসামি একই এলাকার বাহাদুরের ছেলে সালাহ উদ্দিন, মুহাম্মদ আলীর ছেলে সাদ্দাম, নুরুজ্জামানের ছেলে আবুল শামা, নুর মুহাম্মদের ছেলে ফয়সালসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে যুবলীগ নেতা শাহজাহানের বসতবাড়িতে হানা দেয়।

এ সময় তারা ঘেরাবেড়া ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। শাহজাহানের মা হালিমা বেগম এসবের প্রতিবাদ করছিলেন। এ সময় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বৃদ্ধা হালিমা বেগমকে ব্যাপক মারপিট করে আহত করে’। হালিমা বেগম জানায় ‘তারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছিল।

আসামিরা জামিনে এসে কয়েকবার আমার বাড়িতে আক্রমন করেছে। কয়েকমাস আগে সিমানার ইটের দেয়াল গুড়িয়ে দিয়েছে। আমি ও আমার পুত্রবধু কহিনুর আকতার বাড়িতে ছিলাম। আমার ছেলে শাহজাহান কক্সবাজারে ছিল। বাড়ির দারোয়ান মাহমুদুল করিমকেও পিটিয়ে আহত করেছে’। শাহজাহান জানায়‘মুলত ছাগল চুরি নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত হয়েছে। মুহাম্মদ আলীর ছেলে রিদুওয়ান একটি চোরাই ছাগল নিয়ে ধরা পড়ে। স্থানীয়রা তাকে ছাগলসহ পরিষদে সোপর্দ করে। ইউপি সদস্য শাহনেওয়াজ আজাদ তাকে ছাগলসহ পুলিশে সোপর্দ করে। ছাগলের মালিক ও চোরের মধ্যে বিষয়টি মিটমাট হয়েছে।পুলিশে আমি খবর দেয়নি। কিন্তু তারা আমি পুলিশকে খবর দিয়েছি এমন অযুহাত দেখিয়ে ওইদিন রাতে আমার বাড়িতে আক্রমন করে’।

পেকুয়া সদর ইউপি’র সদস্য শাহনেওয়াজ আজাদ জানায় ‘ছাগলসহ রিদুওয়ানকে আমরা পুলিশে দিয়েছি। এরপর কি হয়েছে জানিনা’।

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল আজম জানায়, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: