ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার মন্দির ভেঙ্গে জমি দখলে নিতে ২হিন্দু পরিবার মুখোমুখি

মনির আহমদ, চকরিয়া ::  চকরিয়া পৌরসভার দিগরপানখালী এলাকার দুই হিন্দু পরিবারের মধ্য জমির বিরোধের জের ধরে মন্দির ভেঙ্গে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবাদ করায় মন্দির প্রতিষ্টাতাকে বাড়ী ঘেরাও করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ, প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দিগরপানখালী শীল পাড়া এলাকার মৃত রমনি মোহন চৌধুরীর পুত্র ডাঃ সোনারাম চৌধুরী তাদের বসতভিটায় ১৯৭৩ ইং সনে একটি কৃঞ্চ মন্দির প্রতিষ্টা করেন। তৎকাল থেকে ওই মন্দিরে এলাকার নারী-পুরুষ পুজাঁ করে আসছিল। কিন্তু দূর্লোভের বসবর্তী হয়ে একই এলাকার রবিন্দ্র লাল সুশীলের স্ত্রী আরতি লাল সুশীল গং মন্দির দখলে নেয়ার কু-মানসে মন্দির দখলের অপচেষ্টা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ২২ আগষ্ট শ্রী কৃঞ্চের জন্মাষ্টমীর রাতের আঁধারে আনুমানিক ৩ ঘটিকার দিকে ভাড়াটিয়া লাঠিয়ালবাহিনী দিয়ে টিনের ছাউনি দিয়ে নির্মিত মন্দিরটি ভেঙ্গে আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ২৩ আগষ্ট মন্দিরের প্রতিষ্টাতা ডাঃ সোনারাম চৌধুরী দিগরপানখালীস্থ বাড়ীতে এসে মন্দিরের খোঁজ খবর নেন, এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ আগষ্ট সন্ধ্যার দিকে প্রতিপক্ষ গং ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী নিয়া তার বাড়ী ঘেরাও করে রাখে এবং তাকে জোরালো আঘাত করে তার বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটকরে পরিবারের সদস্যদের প্রাণে হত্যা করবেসহ বিভিন্ন ভয়ভিতি প্রদর্শন করে। এতে উপায়ান্তর না দেখে ডাঃ সোনারাম স্থানীয় লোকজন কে মুঠোফোনে ঘটনা অবহিত করলে প্রতিবেশী লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় ডাঃ সোনারাম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় গতকাল ২৬আগষ্ট একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন। চকরিয়ার মন্দির ভেঙ্গে জমি দখলকে কেন্দ্র করে ২ হিন্দু পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।যে কোন মুহুর্তে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত: