ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধকল্পে মশক নিধনে পৌরসভার মেগাপ্রকল্প উদ্বোধনে ইউএনও শিবলী নোমান

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের নেতৃত্বে জনসচেতনতামুলক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

নিজ আঙ্গিনা পরিস্কার রাখি, সবাই মিলে সুস্থ থাকি এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ পালনের অংশ হিসেবে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় পৌরসভার উদ্যোগে মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে জনসচেতনতামুলক কর্মসুচির আওতায় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান কার্যক্রম উদ্বোধনের শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। এদিন সকালে চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ ও বিমানবন্দরস্থ সেনা ক্যাম্প এলাকায় জনসচেতনতামুলক র‌্যালীটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পৌরসভার কাউন্সিলর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চকরিয়া সেনা ক্যাম্পের সদস্য ও স্থানীয় এলাকার সর্বস্থরের লোকজন অংশ নেন।

অনুষ্টিত জনসচেতনতামুলক র‌্যালী ও মশক নিধন অভিযানে নেতৃত্ব দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান ও চকরিয়া আর্মি ক্যাম্পের ডেপুটি লে. কর্নেল কামাল হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্টো, চকরিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম মনজুর আলম, পৌরসভার সচিব মাসউদ মোরশেদ, প্যানেল মেয়র বশিরুল আইয়ুব, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিয়াবুল হক, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাফর আলম কালু, মহিলা কাউন্সিলর রাজিয়া সোলতানা খুকুমনি, চকরিয়া পৌরসভার কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন ও হায়দার আলী, চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফজলুল কাদের ও শিক্ষক আনছারুল করিম। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন ও আর্মি ক্যাম্পের লোকজনসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

পরে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ ক্যাম্পাস, চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস, চকরিয়া বিজয় মঞ্চ ও ফুলতলা এলাকাসহ বেশকিছু জায়গায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্প্রে মেশিনে ঔষধ ছিটানোর পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মোহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক নিধন অভিযানের জন্য উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে ইতোপূর্বে স্প্রে মেশিন ও ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে। মশক নিধনে এসব ঔষধ স্ব স্ব ইউনিয়নে নিয়মিত ছিঠানো হচ্ছে। উপজেলার বাসিন্দাদের ডেঙ্গুর আক্রমন থেকে বাঁচাতে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষনিক কাজ করছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। এডিস মশার উপদ্রব কমাতে শহর ও গ্রামের লোকজনকে ড্রেন, নালা নর্দমাসহ বাড়ির আঙ্গিনার ফুলের টব, প্লাস্টিকের প্যাকেট ও ডাবের খোসায় জমে থাকা পানি ফেলে দেয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।

চকরিয়া সেনা ক্যাম্পের ডেপুটি লে. কর্নেল কামাল হোসেন বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে বেশকিছু লোক মারা গেছে। এছাড়া আরও অসংখ্য লোক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি মাথায় রেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সারা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় চকরিয়া আর্মি ক্যাম্পের একটি প্রশিক্ষিত সেনা দল ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।

চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধূরী বলেন, বাড়ির আঙ্গিনায় ফুলের টব, প্লাস্টিকের প্যাকেট, ডাবের খোসায় জমে থাকা পানি থেকে এডিস মশার উৎপত্তি হয়। তাই এসব জায়গায় পানি জমে থাকতে দেয়া যাবেনা। এডিস মশা থেকে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটে। এডিস মশা ধবংসে ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি সবাইকে নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনা পরিস্কার রাখতে হবে। পৌর মেয়র আরও বলেন, চকরিয়া পৌর এলাকাকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে প্রতিদিন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মশক নিধন অভিযান চলছে। সুতরাং ডেঙ্গু নিয়ে পৌরবাসীর মাঝে আতঙ্কিত হওয়ার কোন অবকাশ নেই।##

পাঠকের মতামত: