ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় ঠিকাদারের অবহেলায় সড়কের বেহাল দশায় জন দুর্ভোগ চরমে

পেকুয়া প্রতিনিধি ::
পেকুয়ায় ঠিকাদারের অবহেলায় বেহাল দশা হয়ে পড়েছে মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা-কাজী মার্কেট সড়কের। কাদামাটিতে একাকার হয়ে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে দক্ষিণ মগনামার বাসিন্দাসহ ইউনিয়নের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩আগস্ট) দুপুর সরেজমিন দেখা যায়, ইউনিয়নের প্রধান সড়কের মুহুরি পাড়া এলাকায় মগনামা উচ্চ বিদ্যালয় ও মধ্যম মগনামা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অংশ কাদামাটিতে সয়লাব। এতে দক্ষিণ মগনামার বাসিন্দারা ও আশেপাশের অন্তত পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চলাচলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এছাড়া সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার গত এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ রয়েছে ইউনিয়নের লবণ পরিবহন। এতে বড়সড় আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন ব্যবসায়ী।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ থাকা স্বত্তেও শুধুমাত্র ঠিকাদারের অবহেলার কারণে সড়কটি এ দশা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে ঠিকাদার। নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে সংস্কারকাজ বন্ধ করে দিয়েছিল তারা।

মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, এলজিইডি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নি¤œমানের সামগ্রী দিয়ে সড়কটি সংস্কার করছিল সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। স্থানীয় বাসিন্দাদের বাঁধায় তা করতে না পেরে এখন সংস্কারকাজই বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ইউনিয়নের প্রায় ১০হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে। এছাড়া দক্ষিণ মগনামা থেকে লবণ পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।

এব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম বলেন, সড়ক সংস্কারে নি¤œমানের ইট ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নুর বক্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শাহাদাত হোসেন ও নুরুল আবছার এ সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করছিল। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যথাযথভাবে সড়কের সংস্কারকাজ শেষ করতে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবউল করিম বলেন, সড়কের অবস্থা সম্পর্কে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত: