ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বণন্যায় ক্ষতি ৪১ কোটি টাকা: ত্রাণমন্ত্রী ও সচিবের কাছে দুর্গত এলাকায় উন্নয়নে বরাদ্দের দাবী -চেয়ারম্যান সাঈদীর

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর পাশে মন্ত্রাণালয়ের সচিবকে চকরিয়ার বন্যার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানাচ্ছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ ও দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা.মো.এনামুর রহমান এমপি। এদিন বিকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সচিব মো.শাহ কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে থানার ওসি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন হিরু, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সকল ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী জুলাই মাসে অভিরাম ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যার তা-বে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ডা.মো.এনামুর রহমান এমপি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সচিব মো.শাহ কামাল এর কাছে বিশদ বর্ণনা তুলে ধরেন।

প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের কাছে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদী তুলে ধরে বলেন, জুলাই মাসের ১২ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ঠ বন্যার তা-বে চকরিয়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অভ্যন্তরিণ ১৮টি সড়ক-উপসড়ক ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে শুধুমাত্র এলজিইডি’র ২০.৮৯ কিলোমিটার সড়ক,কালভার্ট ও ব্রীজ ভেঙ্গে গিয়ে প্রায় ৭ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এলজিইডি ছাড়াও চকরিয়া উপজেলায় বন্যার তা-বে পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, শিক্ষা বিভাগ, চকরিয়া পৌরসভা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, মৎস্য বিভাগ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর ও ও চকরিয়া পৌরসভাসহ ১৮ টি ইউনিয়নে ৪০ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির এই তালিকা চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী ওইসময় অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা.মো.এনামুর রহমান এমপি এবং মন্ত্রনালয়ের সচিব মো.শাহ কামাল এর কাছে চকরিয়া উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ জনগনের কল্যাণে ও ১৮টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভার সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নকল্পে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার আবেদন জানান। #

এম.জিয়াবুল হক

পাঠকের মতামত: