ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ছেলেধরা আতঙ্ক গুজবের বিপক্ষে পুলিশের প্রচারণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবেশ

খুটাখালী কিশলয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে লিপলেট বিতরণে চকরিয়া থানার ওসি মো. হাবিবুর রহমান

চকরিয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার চকরিয়া সার্কেল কাজী মো.মতিউল ইসলাম বলেছেন, ছেলে ধরা গুজব ছড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার মাধ্যমে সারাদেশে পরিকল্পিত হত্যাযঞ্জে নেমেছে। এ ধরণের ঘটনায় কোন ধরণের সত্যতা না থাকলেও একশ্রেণীর কতিপয় চক্র দেশের ভাবমূর্তি ভুলুন্ডিত করতে এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেরতে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তাই এখন থেকে এসব অপরাধ কর্মকা-ের প্রতিবাদ করতে হবে। ছেলে মেয়েসহ সমাজের সবাইকে এব্যাপারে সচেতন করতে হবে । যাতে কেউ গুজবে কান না দেয়। সোমবার সকালে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী কিশলয় আর্দশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উদ্বুদ্ধকরনমুলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল চকরিয়া থানা পুলিশের আয়োজনে ছেলেধরা গুজব বিষয়ে উপজেলার বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনামূলক প্রচারনা চালান।

খুটাখালী কিশলয় আর্দশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. হাবিবুর রহমান, স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক এসএম জাহাঙীর আলম, সিনিয়র শিক্ষক ঈদি আমিন চৌধুরী, আকবর হোসাইন খোকন, মাওলানা নুরুল ইসলাম, সিদুল শর্মা,আমিরুল কবির ইমন, জয়নাব বাহার, এহছানুল কবির, আজিজুর রহমান, রিদুয়ানুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশে সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মতিউল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু করতে নাকি বাচ্চাদের মাথা লাগবে। পদ্মা সেতু শিবচর ও জাজিরায়। এই এলাকায় এই ধরনের কি কোন ঘটনা আছে ? নাই।

তাহলে এই ধরনের কোন ঘটনা কেন অন্য এলাকায় ঘটবে? এইগুলো কিছুই না। এইগুলি মূলত চক্রান্ত। আপনারা সবাই শিক্ষার্থীদের সচেতন করবেন। এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণকে এব্যাপারে সচেতন করবেন।

সমাবেশে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, গুজব রটিয়ে গণপিটুনি বন্ধ করতে আমরা সচেতনতামুলক পোষ্টার করেছি। পত্রপত্রিকাসহ বিভিন্নভাবে প্রচারনা চালাচ্ছি। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের টহল বাড়ানো হয়েছে। থানার অফিসার, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় সুধীসমাজ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সদস্যদের সাথে নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কোথাও কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে তাকে মারধর না করে পুলিশের হাতে বা সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিতে বলা হয়েছে।##

পাঠকের মতামত: