ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পাউবোর ২১০ মিটার তীরসংরক্ষন কাজে অনিয়ম, এলাকাবাসির মাঝে অসন্তোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলণের পর একইস্থানে বস্তাভর্তির মাধ্যমে ডাম্পিং করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। কাজের তদারকিতে স্থানীয় এমপি, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি কমিটি থাকলেও ওই কমিটির অগোচরে চলমান নদীর তীরসংরক্ষন কাজের মান নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসির মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এমনকি বালু উত্তোলণ করে আবার একইস্থানে বালুভর্তি বস্তা ডাম্পিং করার ঘটনায় তীর সংরক্ষন প্রকল্পের কাজের স্থায়ীত্ব ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় জনগন।
বন্যার তান্ডব থেকে ও নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে কোনাখালী ইউনিয়নসহ উপকুলীয় সাতটি ইউনিয়নের জনসাধারণের জানমাল ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ লোকজন। কাজের অনিয়মের অভিযোগ তুলে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে সম্প্রতি স্থানীয় এলাকাবাসি চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গনরোধে চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের কাইজ্যারদ্বিয়া পয়েন্টে ১১০ মিটার ও কন্যারকুম পয়েন্টে ১০০ মিটার এলাকায় তীরসংরক্ষন কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দে কাইজ্যারদ্বিয়া পয়েন্টে ১১০ মিটার ও ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দে কন্যারকুম পয়েন্টে ১০০ মিটার এলাকায় বালু ভর্তি বস্তা ডাম্পিং কাজ গত এপ্রিল মাস থেকে শুরু করে কক্সবাজারের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় এলাকাবাসি অভিযোগ তুলেছেন, নদীর ভাঙ্গন থেকে এলাকাবাসিকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড উল্লেখিত তীর সংরক্ষন কাজটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেও কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে ভাঙ্গন এলাকার নদী থেকে বালু উত্তোলন শুরু করে। এরপর এসব বালু বস্তাভর্তি করে উত্তোলনকৃত একইস্থানে ডাম্পিং করেছে।
এলাকাবাসির দাবি, মাতামুহুরী নদী থেকে বালু উত্তোলণের পর একইস্থানে বস্তাভর্তির মাধ্যমে ডাম্পিং করার ফলে প্রকল্পের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। এমনকি প্রতিটি বস্তায় ১৭৫ কেজি ওজনের বালু ভর্তি করার কথা থাকলেও ১৩০ থেকে দেড়শত কেজি তারচেয়ে কম ওজনের বালু ভর্তি করে ডাম্পিং করা হয়েছে। প্রকল্পের কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকায় এলাকাবাসি অনিয়ম হলেও সরাসরি প্রকল্পের কাজের ব্যাপারে কিছু বলতে সাহস করেনি।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসি বন্যার তাণ্ডব থেকে নদী ভাঙ্গনের মাধ্যমে কোনাখালী ইউনিয়নসহ উপকুলীয় সাতটি ইউনিয়নের জনসাধারণের জানমাল ও সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে। একই সঙ্গে কাজের মান যাছাই না হওয়া পর্যন্ত বিলের টাকা বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন।দৈ. কক্সবাজার

পাঠকের মতামত: