ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে উপ-নির্বাচন: প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে বাধ্য করার অভিযোগ

চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে নারী-পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখেপড়ার মত। তবে ১১টার পর সেই দৃশ্য আর দেখা যায়নি। ছাইরাখালী মাদরাসা কেন্দ্র সকাল ৯টায়। ছবি : ছোটন কান্তি নাথ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::

উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোট শুরুর আগে থেকে প্রতিকেন্দ্রে ভোটারের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। কিন্তু ভোটকক্ষে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে ভোটারদের বাধ্য করার অভিযোগ ওঠেছে।

নির্বাচনে ‘নজিরবিহীন ভোট কারচুপি’র অভিযোগ করেছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাইন উদ্দিন মুহাম্মদ শাহেদ, মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলম, চশমা প্রতীকের রিদুয়ানুল হকসহ আরো কয়েকজন। তাঁরা প্রশাসনের সহায়তায় ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

এসব প্রার্থী অভিযোগ করেন, ৯ কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটিতে এজেন্ট কর্তৃক প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করায় বেলা ১২টার পর থেকে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে আর যাননি কেন্দ্রে। এমনকি দিগরপানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, পুকপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, খোন্দকারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ঘুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, রাজারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারে বহিরাগত দলীয় নেতাকর্মীরা। এসব কেন্দ্রে ও বাইরে বিপুলসংখ্যক বহিরাগত দলীয় নেতাকর্মীর অবস্থান থাকায় আতঙ্ক দেখা দেয় সাধারণ ভোটারদের মাঝে। এতে ভোটাররা আর কেন্দ্রে যাননি ভোট দিতে।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে প্রার্থী মাইন উদ্দিন মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, ‘ভিন্ন কৌশলে ভোট ডাকাতির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হলেও তাঁরা তাত্ক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনকি ফোন করার পর এই আসছি, এই যাচ্ছি বলে লুকোচুরি খেলা করেন তাঁরা। এতে সিংগভাগ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সরকারি দলের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ঢোকে পড়া বহিরাগতরা।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এসব অভিযোগ কোনো অবস্থাতেই সত্য নয়। এর পরও যেখানে বিচ্ছিন্ন ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, সেখানেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন।’

অপরদিকে কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই। এখানে ভোটগ্রহণ হয় ইভিএমে।

পাঠকের মতামত: