ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় আলোচিত ফাঁসিয়াখালী ইউপির উপ-নির্বাচন: তিন কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল বহিরাগতদের, স্থগিতের দাবি প্রার্থীদের

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের চকরিয়ার বহুল আলোচিত ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে ৯ কেন্দ্রের মধ্যে কয়েকটিতে এজেন্ট কর্তৃক প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করায় বারোটার পর থেকে সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীরা। এমনকি দিগরপানখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, পুকপুকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, খোন্দকারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারে বহিরাগত দলীয় নেতাকর্মীরা। এসব কেন্দ্রে ও বাইরে বিপুল সংখ্যক বহিরাগত দলীয় নেতাকর্মীর অবস্থান থাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে।

মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী ফরিদুল আলম, চশমা প্রতীকের প্রার্থী রিদুয়ানুল হক অভিযোগ করেন, সরকার দলের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে দিগরপানখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ঢুকেন এগারটার দিকে। এ সময় প্রিসাইডিং অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবদুল মান্নানের সহায়তায় কয়েকশ ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দেন। এ সময় অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের মুখ খোলারও সাহস ছিল না।

দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে দিগরপানখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলে নিয়ে পৌরসভার কাউন্সিলর জিয়াবুলের নেতৃত্বে বহিরাগত দলীয় নেতাকর্মীরা ব্যালটে সিল মেরে বাক্সভর্তি করছিল বলে অভিযোগ করেছেন তিন প্রার্থী ফরিদুল আলম, মাইন উদ্দিন মুহাম্মদ শাহেদ, রিদুয়ানুল হক। এছাড়াও পুকপুকুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, খোন্দকারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারে বহিরাগত দলীয় নেতাকর্মীরা।

প্রার্থীদের অভিযোগ, এসব বিষয় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থাই নেননি। এ কারণে তিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত আর হচ্ছেনা। তিন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সরকার দলের প্রার্থী ও তাদের হয়ে আসা বহিরাগতদের।

প্রার্থীদের অভিযোগ, তখন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। এই সুযোগে বহিরাগতরা কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্সভর্তি করে। অবশ্য কিছুক্ষণ পর কর্মকর্তারা সেসব কেন্দ্রে উপস্থিত হন। কিন্তু তার আগেই কাজ সেরে নেন বহিরাগতরা। তাই এই তিন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে।

পাঠকের মতামত: