ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক ::  দেরিতে সেবা নেওয়ায় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপন বলেছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই।’ সোমবার (২২ জুলাই) বিকালে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল সায়মন বীচ রিসোর্টের হলরুমে অনুষ্ঠিত ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা এবং লিঙ্গ সাপোর্ট’ শীর্ষক জেলা পরিকল্পনা ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিন। সেবা না পেয়ে যেন কারো মৃত্যু না হয়, এটাই স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করতে চাই। বন্যার কারণে এডিস মশা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই মশা উৎপাদন হয় এমন সবস্থানে স্প্রে করা হয়েছে, কিন্তু এটি যথেষ্ট ছিল না বলে মশা বৃদ্ধি পায়। এরপরও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাবে না, এটা আমাদের বিশ্বাস।’

রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে উখিয়া-টেকনাফের মানুষ চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয়দের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বিশ্বব্যাংক সরকারকে দেড়শ’ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করছেন। আর এই টাকার ৯০ ভাগই ব্যয় করা হবে স্থানীয়দের সেবায়।’

তিনি জানান, ২০১৭ সালের আগস্ট মাসসহ নানা সময়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে বিশ্ব ব্যাংকের কাছে ২৫০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতার চাওয়া হয়েছিলো। সে সময় ৫০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিলেও এবার ১৫০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করছে বিশ্বব্যাংক।

কক্সবাজার বিশ্বের অন্যতম পর্যটন শহর উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে প্রতি বছর কয়েক লাখ পর্যটক কক্সবাজারে আসেন। এ খাত থেকে সরকার প্রচুর রাজস্ব আয় করে। তাই পর্যটকদের স্বাস্থ্য বিষয়ও আমাদের নজরে রাখতে হবে। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকলে পর্যটকরা কক্সবাজারে আসবে না। উখিয়া-টেকনাফে যেসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে সেগুলো সংস্কারের পাশাপাশি প্রয়োজন মতো অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। যেসব ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক নেই সেখানেও স্থাপন করা হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও জনবল সমৃদ্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক। আর এর পুরোটাই টেকনিক্যাল সহযোগিতা করবে বিশ্বব্যাংক।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক যেসব এনজিও সংস্থার রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপন করেছে, সেখানে স্থানীয়দের সেবা নিশ্চিত করতেও নির্দেশ দেন মন্ত্রী। একই সঙ্গে মাতৃ-মৃত্যু কমাতে প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে ডেলিভারি সেন্টার চালু করা হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি যা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। সেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য ক্রয় করা হবে গাড়ি। পাশাপাশি চালু করা হবে মেন্টাল হেলথ কেয়ার। মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য নির্মাণ করা হবে ডরমেটরি।’

অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি সিনিয়র হেলথ স্পেশালিষ্ট (এইচএনপি গ্লোবাল প্র্যাকটিস) ডা. বুশরা বিনতে আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান (পরিকল্পনা) ডা. মহি উদ্দিন ওসমানি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার, কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল মতিন এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের ডা. পিন্টু কান্তি ও জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: