ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ॥ নার্সিং ইনস্টিটিউটে হিজাব নিষিদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ হিজাব পরতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ শিক্ষার্থীদের হিজাব এবং বোরকা পরতে বাধা দেয়ার পাশাপাশি তাদের মানসিক ভাবে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষার্থী। জানতে চাইলে নার্সিং ইনচার্জ করুনা রানী বেপারী বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আমার এখানে কেউ হিজাব ও বোরকা পড়তে পারবে না।

কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনাচর্জ করুনা রানী বেপারী আমাদের খুবই মানসিক এবং শারিরিক ভাবে হেনস্তা করছে। তিনি আমাদের হিজাব পড়তে বারন করছে এবং কেউ পড়লে তাকে হেনস্তা করে। এছাড়া ইনস্টিটিউটে কোন মুসলিম মেয়ে বোরকা পড়লে তাকে চরম ভাবে নাজেহাল করছে।

বিষয়টি আমরা কাউকে বলতে পারছি না, সইতেও পারছিনা। আলাপ কালে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকে হিজাব এবং বোরকা পড়তে অভ্যস্ত কিন্তু এখানে পড়তে এসে চরম বিপাকে পড়েছি।

আমাদের ইনচার্জ কোন ভাবেই হিজাব বা বোরকা পড়তে দেয়না। মুলত আমাদের যে খাবার দেয়া হয়, তা খুবই নি¤œমানের। যা মোটেও খাবার উপযুক্ত না। এছাড়া রুমে যেভাবে ফ্যান ছাড়া বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকি সেটা কেউ চোখে না দেখলে বুঝবে না। তবুও এসব বিষয়ে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। ৩ বছরের জন্য পড়তে এসেছি কারো সঙ্গে বিরোধে জড়াতে চাইনা। তবে যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সেই দেশে কিভাবে হিজাব পড়া নিষিদ্ধ হয় আমরা বুঝি না।

ইনচার্জ আমাদের বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ড্রেস কোডে হিজাব নেই, মাথার উপর নার্সদের জন্য নির্দিষ্ট ব্যান্ড পড়তে হবে। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে মাথায় হিজাব পড়েও সেই ব্যান্ড পড়া যায় এতে চুল দেখা যায় না ভাল লাগে। আমরাতো নাকেব পড়ছি না। কিন্ত ইনচার্জ করুনা রানী কিছুতেই হিজাব পড়তে দেয় না। বরং এখানে অমুসলিম মেয়েরা যারা আছে তাদের তিনি প্রকাশ্য আসকারা দিচ্ছে। ফলে এখানে যে কোন মুহুর্তে একটি বড় ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা হতে পারে তাই বিষয়টি সবার নজরে আনা দরকার। উল্লেখ্য কক্সবাজার নার্সিং ইনস্টিটিউটে বর্তমানে ১৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে ১২০ জন মুসলিম শিক্ষার্থী।

 

 

পাঠকের মতামত: