ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় বন্যাকবলিত জনপদ পরিদর্শনে উপজেলা চেয়ারম্যান, দূর্গত মানুষের জন্য ত্রাণ বরাদ্দের দাবি

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :: চকরিয়া উপজেলার বন্যাকবলিত বিভিন্ন জনপদ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। তিনি গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বিএমচর, কোনাখালী, পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় জনগনের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তিনি কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে বিএমচর ইউনিয়নের কন্যারকুম এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িঁবাধ পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি মাতামুহুরী নদীতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বেতুয়াবাজার সেতুর ঝুঁিকপুর্ণ অবস্থা দেখেন। ওইসময় তাঁর সঙ্গে সেখানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বদরখালী উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) রাহুল বিশ^াস, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা শাখা কর্মকর্তা (এসও) তারেক বিন সগীর।

পরিদর্শনকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বেতুয়াবাজার সেতুটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সোমবার থেকে সেতুটি রক্ষায় পাউবোর পক্ষথেকে মেরামত কাজ শুরু করা হবে বলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কথা দেন।

একইদিন বিকালে উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া পয়েন্টে নদীতে বিলীন হবার পথে থাকা এক নম্বর গাইড বাঁধ পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী। সেখানকার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে দ্রুত সময়ে গাইড বাঁধের মেরামত কাজ বাস্তবায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেন তিনি।

শনিবার বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সুরাজপুর-মানিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম, আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়–য়া, হাজি মোহাম্মদ সেলিম, চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন ছাড়াও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার, আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বন্যাদুর্গত জনপদ পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, অব্যাহত ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে বানের পানিতে ভাসছে চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বির্স্তীণ জনপদ। উপজেলার সাড়ে ৬ লাখ মানুষের মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৪ লাখ মানুষ পানিবন্দী। রান্না করতে না পেরে বেশিরভাগ পরিবার খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেনা।

গ্রামীণ জনপদে বেশিরভাগ টিউবওয়েল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি মানুষ তীব্র সংকটে পড়েছে বিশুদ্ধ পানীয়জলের। সাথে শুকনো খাবার সংকটও রয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে থাকায় অভ্যান্তরীন যোগাযোগ প্রায় বন্ধ। নষ্ট হয়ে গেছে বেশিরভাগ সড়ক। নদীতে বিলীন হবার পথে বেতুয়াবাজার সেতু ও বাটাখালী সেতু। পাশাপাশি ভাঙ্গনের কবলে আছে হাজার হাজার বসতবাড়ি।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আমার আবেদন, অবিলম্বে চকরিয়া উপজেলার বন্যাদূর্গত মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ সংস্কার ও বেতুয়াবাজার সেতুটি রক্ষায় অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। #

পাঠকের মতামত: