ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বানের পানিতে ভাসছে চকরিয়া বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট

চকরিয়া(কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::
বানের পানিতে ভাসছে কক্সবাজারের চকরিয়ার মানুষ। উপজেলার অন্তত ৬ লাখ মানুষের মধ্যে আনুমানিক ৭০ শতাংশ মানুষ পানিবন্দি। রান্না করতে না পেরে কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ দুদিন ধরে খাবার খেতে পারেনি। সেই সঙ্গে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। রাস্তাঘাঁট পানির নিচে তলিয়ে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে অনেকেই খাবার সংগ্রহ করছেন।
টানা ৮ দিনের বর্ষণে এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি কমলেও পানি এখনো পুরোপুরি নেমে যায়নি।
উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা শুকনো খাবার ও খিচুড়ি রান্না করে বানভাসী মানুষদের কাছে পৌঁছে দিলেও এগিয়ে আসেনি এনজিও গুলো। প্রশাসন কর্তৃক দেয়া ত্রাণ গুলো পর্যাপ্ত নয়। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে সড়কের পাশে থাকা দুর্গতরা এসব শুকনো খাবার পেলেও বেশিরভাগ মানুষই এই সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাই বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত খাবার-বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দেওয়ার দাবি জানান দুর্গতরা।
চকরিয়ার ১৮টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে শতাধিক গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যায়। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে ২ থেকে ৩ ফুট পানি রয়ে গেছে।
ওইসব পরিবারের লোকজন বলেন, বৃষ্টি কমলেও বন্যার পানি তেমন কমেনি। তাদের বাড়িতে পানীয়জল ও খাবার সংকট থাকলেও কোনো নেতা বা জনপ্রতিনিধি এনজিও কেউ খোঁজ-খবর নিচ্ছেনা।
চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী শুক্রবার সকালে থেকে তার নিজস্ব তহবিল থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, ‘বন্যার পানি কমে না যাওয়া পর্যন্ত দুর্গতদের শুকনো খাবারের পাশাপাশি চাল-ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। বন্যা পানি নেমে গেলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে করণীয় ঠিক করা হবে।’
অপরদিকে লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার জানান, তার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকায় প্রায় ৫ হাজার পরিবারের মাঝে খিচুড়ি ভাত নিজে ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পৌছে দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এসব শুকনো খাবার বন্যাকবলিত এলাকায় পৌছে দিচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। প্রশাসনের লোকজনও কাজ করছে।’

পাঠকের মতামত: