ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় কবরস্থান নিয়ে সংঘর্ষ, আহত-১৭ (পকুয়া সংবাদ)

নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। একটি প্রাচীন সময়ের কবরস্থানের বিরোধ নিয়ে গ্রামবাসী ও পল্লী চিকিৎসকের পরিবারের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে। কলেজ ও মাদ্রাসা ছাত্রীসহ কয়েকজন নারীও সংঘর্ষে আহত হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে যান। এ সময় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের মারামারি থেমে যায়। উত্তেজনা প্রশমিত করতে ইউপি চেয়ারম্যান ওই স্থানে গ্রাম পুলিশ পৌছায়। পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ৫ জুলাই (শুক্রবার) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হিরাবুনিয়া পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই গ্রামের ফরিদুল আলমের স্ত্রী জন্নাত আরা (৩৮), আলী হোসেনের ছেলে আবু বক্কর (২৫), মৃত নাগু মিয়ার পুত্র আলী হোসাইন (৬৭), মৃত এজাহারুল হকের ছেলে শফিউল আলম (৩৯), পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী নুরী জন্নাত সিরু (১৮), শফিউল আলমের ছেলে ও কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্র মামুনুর রশিদ (১৮), জিয়াউর রহমান কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী শারমিন আক্তার (১৮), মৃত জাফর আলমের ছেলে মাষ্টার জাকের উল্লাহ হিরু (৩০), আলী হোসেনের স্ত্রী পুতিলা বেগম (৬৩), মৌলভী বাজার মাদ্রাসার আলিম ১ম বর্ষের ছাত্রী জোছনা আক্তার (১৮), মিয়াজানের ছেলে কাইছার (২৫), জামালের ছেলে ইউনুছ (৪৮), বশরত আলীর ছেলে ফজল করিম (৪০), আহমদ হোসেনের ছেলে আমিনুল্লাহ (২৩), কালুর ছেলে মোকাজ্জল (২০), ফজলুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর (৪৩), হাকিম আলীর ছেলে ইলিয়াছ (২২)। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, হিরাবুনিয়া পাড়া গ্রামে ৬০ শতক আয়তনের একটি কবরস্থানের মালিকানা নিয়ে গ্রামবাসী ও পল্লী চিকিৎসক আবদুল গফুর গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোনাইছড়ি মৌজার বিএস ১৪৯ নং খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত ওই কবরস্থানটি। একরাম মিয়া চৌধুরী, আমিন শরীফ মিয়া চৌধুরী ও এমদাদ মিয়া চৌধুরী মিলে বিগত ১২০ বছর আগে ওই কবরস্থানের জন্য জায়গা দান করেন। তারা ৩ জনই সহোদর। পৈত্রিক অংশ থেকে ওই কবরস্থানের জন্য জমি দান করেন। এ দিকে সম্প্রতি হিরাবুনিয়া পাড়া গ্রামে ওই কবরস্থান নিয়ে বিরোধ প্রকট আকার ধারন করে। স্থানীয়রা জানায়, হিরাবুনিয়া পাড়ার আলী হোসাইনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক আবদুল গফুর ও নাপিতখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওসমান গণি গং খতিয়ানের এজমালি অংশ থেকে জমিদার গংদের পরবর্তী ওয়ারিশদের কাছ থেকে জায়গা খরিদ করেন। দলিলে কবরস্থানের কিছু অংশ জায়গা লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। কবলা গ্রহীতা আবদুল গফুর ও ওসমান গণি গং কবরস্থান থেকে জমি উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালায়। ঘটনার দিন দুপুরে আবদুল গফুর গং ৬০ শতক আয়তনের কবরস্থানের বিপুল অংশ পৃথক করে ওই স্থানে ঘিরা বেড়া দেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে হিরাবুনিয়াপাড়া গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক লোকজন জড়ো হন। তারা কবরস্থানে গিয়ে পল্লী চিকিৎসক আবদুল গফুর গংদের ঘিরা বেড়া স্থাপন কাজে বাধা দেয়। এর সুত্র ধরে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারামারি ও সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় উভয়পক্ষ ইটপাটকেল ছুড়ে। হিরাবুনিয়াপাড়ার বাসিন্দা ডা: শাহাদাত হোসেন চৌধুরী জানায়, ওই কবরস্থানের জন্য আমিও ৫ শতক জমি ওয়াকফ করেছি। ময়েজ উদ্দিন চৌধুরীসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি ওই কবরস্থানের জন্য জমি দিয়েছে। মৌলভী শাহাব উদ্দিন, জমির উদ্দিন, নুরুল ইসলাম, কাজী মাহামুদুল হকসহ শত শত গ্রামবাসী জানায়, এটি ১২০ বছর আগের কবরস্থান। আরএস রেকর্ডে সেটি কবরস্থান হিসেবে রেকর্ড ভূক্ত। তবে বিএসে রেকর্ড ক্রুটি ছিল। এর দুর্বলতায় আবদুল গফুর গং দলিল সৃজন করে। বহু কবর বিলুপ্তি সাধন করে তারা কবরস্থানটির বিশাল অংশ ফসলী জমি বানায়। গফুরের বসতভিটায়ও পাকা কবর রয়েছে। আসলে এরা কবরস্থান কেনার এ দৃষ্টতা কিভাবে দেখায়। মানুষ পরকালের জন্য নির্দিষ্ট স্থান কবরস্থানকে বেচেঁ নেয়। অথচ সেটিকে নিয়ে চক্রান্ত করছে। পল্লী চিকিৎসক আবদুল গফুর জানায়, আমরা জায়গা ক্রয় করেছি। আমাদের কেনা জায়গায় তারা অন্যায় করছে। চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমি জিডিও করেছি। এরপর অতর্কিত হামলায় আমার মা, বোন ও পিতাসহ ৯ জনকে জখম করেছে। পেকুয়া থানার এস,আই সুমন সরকার জানায়, খবর পেয়ে আমিসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। উভয়পক্ষকে বিরোধপূর্ণ স্থান ত্যাগ করাতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে। টইটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, উভয়পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। যেহেতু কবরস্থান এটি স্পর্শকাতর বিষয়। এখানে কোন বাড়াবাড়ি থাকতে পারে না।

##################

পেকুয়া সদর ৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের কাউন্সিল
নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলন শেষ হয়েছে। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এ দুটি পদে সরাসরি ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। ৫ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন আ’লীগের ৯ নং ওয়ার্ড কমিটির কাউন্সিল অনুষ্টিত হয়েছে। পেকুয়া বাজার আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্টিত সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন পেকুয়া উপজেলা আ’লীগ (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি শাহনেওয়াজ চৌধুরী বিটু। প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম। সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এম,আজম খানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বিএর সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সমাবেশ অনুষ্টিত হয়। প্রথম অধিবেশন সমাপ্তির পর দ্বিতীয় অধিবেশনে ৯ নং ওয়ার্ড আ’লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গ্রহন অনুষ্টিত হয়। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দুটি পদের জন্য ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করে। ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ছাতা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ কালু প্রকাশ কালু মাঝি। নিকটতম প্রার্থী চেয়ার প্রতীকের মৌলভী আক্তার হোছেনকে তিনি পরাজিত করেছেন। সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। ৩ প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। ৪২ টি সমান ভোট পেয়েছেন সাধারন সম্পাদক পদে দুই প্রার্থী আতিকুর রহমান ও নুরুল আবছার। অপর একজন প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪১ ভোট। ৪২ টি সমান ভোট প্রাপ্ত হওয়ায় সাধারন সম্পাদক পদে ফলাফল অমীমাংসিত থেকে যায়। পরবর্তীতে লটারীর মাধ্যমে সাধারন সম্পাদক পদটি বিজয় নিশ্চিত করা হয়েছে। গঠনতন্ত্রের আলোকে সমান ভোট প্রাপ্ত হয়ে থাকলে লটারীর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উপজেলা আ’লীগের নীতিনির্ধারনী ফোরামে লটারী সিদ্ধান্ত দেয়। দলীয় কার্যালয়ে স্বাসরুদ্ধকর লটারীর মাধ্যমে ওই পদটিতে বিজয়ী প্রার্থীর চুড়ান্ত নাম ঘোষনা করা হয়েছে। ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছার ওই ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।

##############################
উজানটিয়া আ’লীগের দুটি ওয়ার্ড কমিটি গঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া:
পেকুয়ায় উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের ৫ নং ও ৬ নং ওয়ার্ড কমিটিতে ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে। ৫ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৩ টার দিকে সোনালী বাজার সোনালী কিন্ডার গার্টেন স্কুল প্রাঙ্গনে পৃথক দুটি ওয়ার্ডের কাউন্সিল অনুষ্টিত হয়। ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি এম,তোফাজ্জল করিমের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক শাহজামাল মেম্বারের সঞ্চালনায় সম্মেলন ও কাউন্সিলে মুখ্য আলোচক ছিলেন উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কাসেম। দুটি ওয়ার্ডে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ৫ নং ওয়ার্ড কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আবুল বশর ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। তারা দু’জন দ্বিতীয়বার স্ব স্ব পদে নির্বাচিত হয়েছেন। একইভাবে ৬ নং ওয়ার্ড কমিটিতেও বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জসিম উদ্দিন। সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আলী আহমদ। সোনালী বাজার কেজি স্কুলে সম্মেলন ও কাউন্সিলকে ঘিরে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। সম্মেলন ও কাউন্সিল সফল ও সার্থক করতে দুই ওয়ার্ড থেকে বিপুল কাউন্সিলার ও ডেলিগেট জড়ো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, বশিরুল আলম মেস্ত্রী, উপজেলা আ’লীগ নেতা শেখ আহমদ, শ্রমিকলীগ সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারন সম্পাদক এস,এম শাহাদাত হোছাইন, উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মো: বারেক, সহসভাপতি জিয়াবুল হক জিকু, যুগ্ম সম্পাদক সাংবাদিক নাজিম উদ্দিন, আ’লীগ নেতা জামাল মেম্বার, ছাবের আহমদ, নুর উদ্দিন মেম্বার, জিয়াবুল হক মেম্বার, আবুল খাইর, হাবিব, শফর মুল্লুক, নুরুল আজিম মেম্বার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ওসমান গণি মেম্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা নাছির উদ্দিন, শাহজামাল, শাহাব উদ্দিন, আহমদ ছফা মেম্বার, হেলাল উদ্দিন, মোহাম্মদ ইদ্রিস, আবুল কাসেম, কামাল হোসেন প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: