ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় চিংড়ঘের কর্মচারী বেলাল খুনের মামলার আসামিরা বেপরোয়া আতঙ্কে ভুগছেন মামলার বাদি ও পরিবার

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় চিংড়ি ঘেরকর্মচারী বেলাল উদ্দিন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা ঘটনার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে মামলার বেশির ভাগ আসামি ও তাদের স্বজনরা মামলাটি তুলে নিতে বাদি ও পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ অবস্থায় চরম আতঙ্কে ভুগছেন মামলার বাদি নিহতের বোন সেলিনা আক্তার ও পরিবার সদস্যরা।

মামলার আর্জি সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী গ্রামের জাফর আলমের ছেলে বেলাল উদ্দিন দীর্ঘ সময় ধরে চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চরণদ্বীপে অবস্থিত একই ইউনিয়নের বুড়ি পুকুর এলাকার আবদুস সালামের ছেলে ছাবের আহমদের চিংড়িঘেরে কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। গত সোমবার (১৩ মে) রাত ৩ টার দিকে মাছ লুটের অজুহাতে একদল দুর্বৃত্ত ওইঘেরে হানা দেন। এসময় বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ঘেরকর্মচারী বেলাল উদ্দিনকে মারধরের একপর্যায়ে হাত কেটে দিয়ে মারাত্মক আঘাত করে।

নিহত বেলাল উদ্দনের পরিবারের দাবি, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আহত বেলাল উদ্দিনকে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে গেলে দেখতে পান ৮-১০জন অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত সেখানে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান, একই এলাকার ইউসুফ মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান, ফরিদ আলমের ছেলে নেজাম উদ্দিন ও পূর্ব ডুমখালী গ্রামের ছৈয়দ আহমদের ছেলে মনছুর আলম, ফজল আহমদের ছেলে কামাল উদ্দিন, জাকের আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ, ছকির আহমদের ছেলে কলিম উল্লাহ, ফরিদুল আলমের ছেলে সালাহউদ্দিন, আক্তার আহমদের ছেলে আনোয়ার হোসেন পুতুইয়া, চরনদ্বীপ এলাকার ভেওলা পাড়ার গোলাম কবিরের ছেলে রুহুল কাদের, বুড়িপুকুর এলাকার হাজী মোস্তাক আহমদের ছেলে জয়নাল আবেদিনসহ কয়েকজনকে সনাক্ত করেছেন পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে ঘটনার সাতদিন গত ২০ মে চকরিয়া থানায় উল্লেখিত ১১জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত বেলাল উদ্দিনের বোন সেলিনা আক্তার।

পরিবার সদস্যরা জানান, ওইসময় তাঁরা কেন বেলাল উদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করেছে সেঘটনা জানতে চেষ্ঠা করলেও অস্ত্রধারীদের হুমকির মুখে পরিবার সদস্যরা কোনমতে আহত বেলাল উদ্দিনকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর আহত বেলাল উদ্দিনকে উদ্ধার করে প্রথমে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঁচদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৭ মে শুক্রবার রাত সাড়ে দশটার দিকে বেলাল উদ্দিন চমেক হাসপাতালে মারা গেছেন।

মামলার বাদি নিহতের বোন সেলিনা আক্তার ও পরিবার সদস্যরা অভিযোগ তুলেছেন, মামলার আসামিদের মধ্যে আবদুর রহমান, মনছুর আলম, কলিম উল্লাহ ও আনোয়ার হোসেন পুতুইয়া ঘটনার পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে তাঁরা মামলাটি তুলে নিতে আমাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি।

পাঠকের মতামত: