ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪

চকরিয়ায় আদালতের আদেশ অমান্য করে তিন ভাইয়ের জমিতে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ কাউন্সিলর মুজিবের বিরুদ্ধে

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া ::  চকরিয়ায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের মাধ্যমে পেশিশক্তির জোরে অন্যের জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে মেতে উঠেছে আলোচিত পৌর কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব। পৈত্রিক জায়গা অবৈধভাবে দখলে নিয়ে জোরপুর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের তিনভাই আবুল কাশেম, আলাউদ্দিন আলম ও কফিল উদ্দিন বাদি হয়ে গত ৩০ মে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ধারায় একটি এমআর মামলা (৫৮৫/১৯) দায়ের করেছেন। মামলায় বিবাদি করা হয়েছে চকরিয়া পৌরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের আলোচিত কাউন্সিলর মুজিবুল হক মুজিব, চিরিঙ্গা বাসস্টেশন পাড়ার মৃত মোস্তাক আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন ও সুলতান আহমদের ছেলে আজিজুল হককে।

মামলার আর্জির অভিযোগে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা মৌজার বিএস ৭১ নং খতিয়ানের বিএস ৬৪৬, ৬৪৮, ৬৪৯, ৬৫০, ৭০২, ৭০৯ আন্দর দাগের আপোষ দখলমতে বিএস ৬৪৬, ৬৪৮ ও ৭০২ দাগের জিরো দশমিক ১৫৯৩ একর জমির বৈধ মালিক নজির আহমদ। তিনি জীবিত থাকাকালে উল্লেখিত জমি তিন ছেলে আবুল কাশেম, আলাউদ্দিন আলম ও কফিল উদ্দিনকে ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর ৫১৯৭ নং রেজিষ্ট্রিযুক্ত হেবামুলে দখল অর্পন করেন। সেই থেকে তিন ছেলে উল্লেখিত জায়গায় বসতি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে শান্তিপুর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন।

জায়গার মালিক বাসস্টেশন পাড়ার নজির আহমদের ছেলে মামলার বাদি আবুল কাশেম অভিযোগ তুলেছেন, মামলার অভিযুক্ত বিবাদিরা পরস্পর যোগসাজসে ভুঁয়া কাগজপত্র তৈরী করে আমাদের তিনভাইয়ের নামে হেবাকৃত উল্লেখিত জায়গা দখলের জন্য পরিকল্পিতভাবে অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। এরই জেরে অভিযুক্ত প্রধান বিবাদি কাউন্সিলর মুজিব পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে আমাদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে মেতে উঠেছে। এ ঘটনায় আমরা বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নিই।

বাদি আবুল কাশেম জানান, গত ৩ জুন ধায্য তারিখে মামলার শুনানী শেষে আদালতের বিচারক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাং শাজাহান আলী আদেশ দেন। আদেশে আদালত উল্লেখিত বিরোধীয় জায়গায় বিবাদিপক্ষকে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ না করতে আদেশ দেন। একই সঙ্গে সরেজমিন তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও বিরোধীয় জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করত: আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

জায়গার মালিক ও মামলার বাদি পক্ষের লোকজন অভিযোগ তুলেছেন, আদালতের আদেশের কপি ইতোমধ্যে চকরিয়া থানার ওসিকে দেওয়া হয়েছে। তিনি উল্লেখিত জায়গায় অবৈধ স্থাপনা বন্ধে বিবাদিপক্ষকে কাজ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ঘটনাটি দেখভাল করতে থানার এসআই জাকির হোসেনকে তদন্তভার দিয়েছেন। এরপরও বর্তমানে বিবাদিরা পেশিশক্তি প্রদর্শন করে উল্লেখিত জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। এ অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারের তিনভাই পৈত্রিক বাড়িভিটার ওই জায়গা অবৈধ দখলবাজ চক্রের কবল থেকে উদ্ধারে আদালতের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: