ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মহাসড়কের ফুটপাত যেন ইট-কংক্রিটের আড়ৎ

শাহীন মাহমুদ রাসেল, কক্সবাজার ::

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দু’পাশে চাকমারকুল থেকে রামু বাইপাস পর্যন্ত থাকা ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে চলছে ইট-কংক্রিটের ব্যবসা। এ কারণে স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারছেন না পথচারীরা। যান চলাচলে ঘটছে ব্যাঘাত, সারাক্ষণই লেগে থাকছে জট।

সরেজমিনে দেখা যায়, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি চাকমারকুল থেকে শুরু করে রামু বাইপাস পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ফুটপাত ও রাস্তা দখলে চলে গেছে। সেখানে রাখছে ইট, কনক্রিট, বালি ও রাবিশ। মহাসড়কের ২০ ফুট চওড়া ফুটপাত এত সরু হয়ে গেছে যে হেঁটে চলাও যাচ্ছে না। ফুটপাত দখল করে এসব ব্যবসায়ীরা রাখছেন স্থায়ীভাবেই। আর যাঁরা ফুটপাতে জায়গা পাচ্ছেন না, তাঁরা মালামাল রাখছেন প্রায় রাস্তার ওপরই। এমনকি রাস্তার বিভাজকের ওপরেও রাখা আছে ইট, কনক্রিট ও রাবিশের বস্তা প্রভৃতি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে পথচারীদের চলতে হচ্ছে মূল সড়কে নেমে মাঝপথ বরাবর।

তেচ্ছিপুল এলাকার বাসিন্দা ইমাম হোসেন বলেন, এটা পর্যটক নগরী কক্সবাজারের ব্যাস্ত মহাসড়ক, এই পথেই আমাদের নিয়মিত যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ফুটপাতের পুরো অংশেই অবৈধ ব্যবসায়ীদের দখলে। হেঁটে চলাচলের আর কোনো উপায় নেই। বছর দুয়েক আগে এখানে প্রথমে দু-একজন ব্যবসায়ী ইট রেখে বিক্রি করতেন। পরে দিন দিন ইট, বালি, কনক্রিট রাখার গুদাম বানিয়ে রাখে। এখন পরিমাণ বাড়তে থাকে।

ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে গিয়ে ভিড়ের কারণে সামনে এগোতে পারছিলেন না এক পথচারী। তিনি বলেন, ফুটপাতের যেটুকু অংশ ফাঁকা আছে, সেটা তো লোকজনের চলাচলের জন্য নয়। ওই অংশটা হলো ইট, কনক্রিট ও বালি ব্যবসায়ীদের জন্য। রাস্তার ওপর ইট, কনক্রিট, সড়কে হেঁটে চলা মানুষ, ধুলো-বালি, ইটবাটার চলাচল করা ডাম্পার—সব মিলিয়ে একটা প্রচণ্ড বিশৃঙ্খল অবস্থা। একটু পর পর লেগে যায় যানজট।

চাকমারকুল এলাকার বাসিন্দা এনায়েত উল্লাহ বলেন, এটি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের অনেক ব্যস্ত সড়ক। এখান দিয়ে কক্সবাজার, ঢাকা-চট্টগ্রামের মানুষের সার্বক্ষণিক চলাচল থাকে। তার মধ্যে এখানে একটি রেলের লেভেল ক্রসিং হচ্ছে। এমন একটি স্থানে ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ইট ও কনক্রিট ব্যবসা গড়ে ওঠায় জনসাধারণের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।

মহাসড়ক দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রণয় চাকমা বলেন, মহাসড়কের ফুটপাত দখলের বিষয়টি আমার চোখে পড়েছে। ব্যাস্ততার কারণে সময় দিতে পারিনি, শিগগরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: