ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় অপরাধ নিরোধ বিষয়ক সভায়, অস্ত্রধারী যেই হউক রেহাই হবে না -সহকারী পুলিশ সুপার

মনির আহমদ, কক্সবাজার ::

চকরিয়ার দ্বায়ীত্বপ্রাপ্ত কক্সবাজারের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোং মতিউল ইসলাম বলেন,জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও সামাজিক অপরাধ বিরোধীর কোন স্থান হবে না। সে যতবড় ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বা রাজনৈতিক নেতা এমন কি আওয়ামীলীগ নেতাও যদি হয় তার বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেব। কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। তিনি বলেন, চরন্দ্বীপের ১৭ হাজার চিংড়ী ও মৎস্য চাষীর নিরাপত্তায় প্রয়োজনে সবরকম আইনী ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে সন্ত্রাস প্রতিরোধ করবেন প্রশাসন। তিনি সতর্ক করে বলেন, মামলা পাল্টা মামলা থাকতেই পারে কিন্তুু এ ইস্যুকে পুঁজি করে সন্ত্রাস বরদাস্ত করা হবে না। তিনি প্রয়োজনে মামলা নিস্পত্তিতে সহায়তা করার ও আশ্বাস দেন।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চারালিয়া ষ্টেশনে চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের উদ্যোগে আয়োজিত জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মাদক ও সামাজিক অপরাধ বিরোধী আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক অবহিত করন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে তিনি এ কথা বলেন। চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুর রহমান, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন সহ স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিগন। প্রসংগত: সাম্প্রতিক সময়ে চিংড়ী জোন এলাকা চরন্দ্বীপ সহ চকরিয়ায় কয়েকটি খুন, ডাকাতি বৃদ্ধি সহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকা ও গন মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এ ছাড়া ও গত ১৩ জুন সকালে চরন্দ্বীপে আধিপত্যের কোন্দলে খুন হয় চিরিঙ্গার ৪ নং ওয়ার্ড বুড়িপুকুরের আহম্মদ হোছনের পুত্র আব্দুল হামিদ (৩২)। এ ঘটনার পর পরই হামিদ হত্যার ইস্যুতে একদল অস্ত্রধারী কর্তৃক চরন্দ্বীপ ও শুকনাফাড়ী এলাকার ২৫-৩০ টি বাড়ীতে হামলার পর ভাংচুর করে বাড়ীর আসবাবপত্র, গবাদিপশু সহ অর্ধকোটি টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ উঠে। এর প্রেক্ষিত শংকিত হয়ে উঠে চরন্দ্বীপের জনপদ, মানুষ শুন্য হয়ে পড়ে ২ গ্রামের অন্তত:৩০ পরিবার। এমন এক পরিস্থিতিতে চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন প্রশাসনিক সহযোগিতা ও আইন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এ আয়োজন করেন। চিরিঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হয়ে এলাকার দাগী আসামীদের আত্মসমর্পনের মাধ্যমে শান্ত পরিবেশে ফিরিয়ে আসার আহ্বান জানান। পাশাপাশি চরন্দীপে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনে সহযোগিতার জন্য সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোং মতিউল ইসলামের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এবং ঘোলাপানিতে মাছ ধরার কায়দায় সন্ত্রাসের সাথে কারা কারা জড়িত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।

 

পাঠকের মতামত: